নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের ডোমিসাইল আইন নির্ধারণ করল কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যারা ডোমিসাইল তারাই শুধু প্রশাসনে নীচুতলার পদগুলিতে চাকরি পাবে।
কারা এই নয়া কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যের ভূমিপুত্র? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা পনেরো বছর ধরে বসবাস করছেন বা সাত বছর যাবদ এখানে পড়াশুনো করেছেন ও দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে ডোমিসাইল বলে গণ্য করা হবে। তারা এখানে চাকরি পেতে পারেন। একই সঙ্গে বলা হয়েছে Relief and Rehabilitation Commissioner (migrants) যাদেরকে মাইগ্রেন্ট বা পরিযায়ী তকমা দিয়েছেন, তাদেরও ডোমিসাইল বলে গণ্য করা হবে।
আরও পড়ুন: একাধিক অঙ্গ বিকল, মারা গেলেন নয়াবাদের করোনা-আক্রান্ত প্রৌঢ়
এই আইন বদল হল এই কারণে যে অনেকে মনে করছিলেন ৩৭০ ধারা লুপ্ত হওয়ার পর দেশের অন্যের রাজ্যের মানুষরা এখানে এসে চাকরি করতে শুরু করবেন, বঞ্চিত হবে স্থানীয়রা। একই সঙ্গে জনবিন্যাস বদলে যাবে এই ভয়ও ছিল অনেকের মনে।নয়া ডোমিসাইল আইন সব পোস্টের জন্য লাগু যেখানে বেসিক মাইনে ২৫ হাজার। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, পিএসইউ, পিএসবি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত যারা দশ বছর জম্মু-কাশ্মীরে কাটিয়েছেন, তারাও ডোমিসাইলের স্বীকৃতি পাবেন। যারা ডোমিসাইল তাদের ছেলে-মেয়েরা বাইরে থাকলেও তাদেরকে ডোমিসাইল হিসাবে গণ্য করা হবে।
আরও পড়ুন: নীরব ও নিস্তব্ধ…দেখে নিন লকডাউন কলকাতার অচেনা অ্যালবাম
গত বছরের পাঁচ অগস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস শেষ করে দেয় কেন্দ্র। একই সঙ্গে রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাক সৃষ্টি করে কেন্দ্র।
Talk about suspect timing. At a time when all our efforts & attention should be focused on the #COVID outbreak the government slips in a new domicile law for J&K. Insult is heaped on injury when we see the law offers none of the protections that had been promised.
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) April 1, 2020
এই নতুন আইনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী নেতা ও অন্যরা সকলেই বলতে শুরু করেছেন, এই ভাবে নতুন আইনে কেবল মাত্র কম বেতনের চাকরিই সংরক্ষিত রইল এখানকার বাসিন্দাদের জন্য।‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’-নেতা ওমর আবদুল্লাহ কয়েকদিন আগে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি এই নতুন আইনকে ‘অপমান’ বলে আক্রমণ করছেন কেন্দ্রকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে দেশ যখন লড়ছে, এই রকম একটা সময়ে কাশ্মীরের বাসিন্দা কারা সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন।
তিনি লেখেন, ‘‘যখন আমাদের সব মনোযোগ রয়েছে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলার দিকে, তখনই সরকার একটি নতুন অধিবাসী আইন নিয়ে এল জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য।” তাঁর মতে, এটা ‘অপমান’, কেননা প্রতিশ্রুত কোনও নিরাপত্তাই দিচ্ছে না এই নয়া আইন।
আরও পড়ুন: দেশে অমিল করোনা সুরক্ষা কিট তা সত্ত্বেও সার্বিয়াকে চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি! নিরুত্তর কেন্দ্র