কলকাতা: শোভনের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই নবান্নে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে পৌঁছন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী। এর পরই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি শোভনের মান ভাঙাতে কি ময়দানে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সপ্তাহে বেহালা পূর্ব বিধানসভে কেন্দ্রের তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব রত্না দাসের হাতে তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই দ্রুত বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। রত্নাকে তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়ায় পালটা ময়দানে নামতে তৎপর হন শোভন। বিজেপির হয়ে ময়দানে নামবেন বলে মনস্থও করে ফেলেন তিনি। মঙ্গলবারই শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে বেশ লম্বা বৈঠক করে এসেছিলেন বৈশাখী।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর লেটারহেড থেকে ‘গায়েব’ বাংলা, সোশ্যাল মিডিয়াতে চড়ছে বিতর্কের পারদ
বৈঠক থেকে বেরিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে আর কথা এগনোর কোনও সম্ভাবনা নেই। শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় হচ্ছেন না বলে যদি বেহালায় তাঁর বিকল্প হিসেবে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বেছে নেওয়া হয়, তা হলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে কতটা ‘দেউলিয়া’— এই মন্তব্য সে দিন করেছিলেন বৈশাখী। এই ‘দেউলিয়া’ তৃণমূলের জন্য় তাঁর শুভেচ্ছা রইল বলে কটাক্ষও ছুড়েছিলেন।
তৃণমূলের তরফে পার্থবাবু জানিয়েছিলেন, শোভনকে দলে ফিরতে গেলে কথা বলতে হবে তাঁকেই। তাঁর কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবে না দল। যদিও এদিন নবান্নে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।পুরভোটে শোভন যদি বিজেপির হয়ে ময়দানে নামেন, তা হলে তৃণমূলের লড়াই কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত।
আরও পড়ুন: স্নাতক হলেই মিলতে পারে রাজ্য সরকারি চাকরি, দেখুন আবেদনের ডিরেক্ট লিঙ্ক
শোভন তৃণমূলের হয়ে মাঠে নামুন বা না নামুন, বিজেপির হয়ে যাতে সক্রিয় না হন, তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল নেতৃত্ব মরিয়া বলে খবর। সেই কারণেই কি এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় হচ্ছেন? বৈশাখীর সঙ্গে কথা বলে তিনি কি শোভনের বিজেপি যাত্রা ভঙ্গ করতে চাইছেন? প্রশ্ন গোটা রাজনৈতিক শিবিরেই। এবার কি তাহলে শোভনের ঘর ওয়াপসি হবে, সেই প্রশ্ন ও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।