‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে থাকলে শাস্তি পেতে হবে’, চিনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়াশিংটন: চিন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এবার শি জিনপিংকে (Xi Jinping) সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump )। তাঁর সাফ কথা, চিনের ভুলের জন্য এখন গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হচ্ছে। ওরা চাইলেই ভাইরাসটিকে ছড়ানো থেকে আটকাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

বিশ্বজোড়া করোনা মহামারী নিয়ে চিন আর আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন আগেই শুরু হয়েছে। চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক মহলেও এই অভিযোগে দরবার করেছেন তিনি। চিনের পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এবারে ট্রাম্পের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃত যে কারণেই হোক, চিনের ভুলেই গোটা বিশ্ব বিপদে। তিনি বলছেন, “তদন্ত চলছে। প্রকৃত সত‌্য আমরা বের করে আনবই। যেখান থেকেই এই ভাইরাস তৈরি করা হোক বা আসুক, চিন থেকে এটা যে ভাবেই ছড়াক না কেন ১৮৪টা দেশ এর জন‌্য এখন ভুগছে।” এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ওরা যদি জেনেবুঝে এটা করে থাকে তাহলে ওদের শাস্তি পেতেই হবে। আর যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা ভুলই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চিন বলছে, ওরা নাকি তদন্ত করছে। আমরাও আমাদের মতো তদন্ত করছি। ইচ্ছা করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকলে চিনকে শাস্তি পেতেই হবে। একইসঙ্গে উহানের একটি গবেষণাগারকে যে ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার আর্থিক অনুদান আমেরিকা দিত, তা শীঘ্রই দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: এক দিনে পজিটিভ ১৩২৯, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার, মৃত বেড়ে ৫০৭

নোভেল করোনাভাইরাস চিনের উহানের গবেষণাগার থেকে কোথায় কারা নিয়ে গিয়েছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে, ওই গবেষণাগার সম্পর্কে যাবতীয় তথ‌্য সংগ্রহ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ট্রাম্পের বক্তব্য, এটা ভুল না ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে। চিন যে তথ্য দিয়েছে তাও ভুল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। চিন বলেছে সে দেশে প্রতি ১ লাখ আক্রান্ত মানুষে মৃত ০.৩৩ জন। ট্রাম্পের বক্তব্য, এটা একেবারে ভুল পরিসংখ্যান। সত্য সামনে এলে দেখা যাবে মৃতের সংখ্যায় আমেরিকা এক নম্বরে নয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ লাখ আক্রান্তের মধ্যে মৃত ১১.২৪ জন। অন্যদিকে ফ্রান্স ও স্পেনে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ২৭.৯২ এবং ৪২.৮১। মৃতের সংখ্যা যে চিন ভুল গুনে কম বলেছিল সেকথা ইতিমধ্যেই স্বীকারও করেছে বেজিং।

আরও পড়ুন: করোনার ‘হটস্পট’ থেকে আসা প্রসূতিকে ভর্তিই নিল না NRS, মৃত্যু সদ্যোজাতের

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest