বেজিং: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন নাকি বানিয়ে ফেলেছে চিন, এমনটাই দাবি করেছিল সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এডি৫-এনসিওভি (Ad5-nCOV) নামে সেই ভ্যাকসিনের নাকি এখন মানুষের উপর প্রয়োগ করা (Human Trial) হচ্ছে। এর মধ্যেই চিন ফের দাবি করেছে সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে গবেষণাগারে বানানো একধরনের ন্যানোমেটিরিয়াল। সেই উপাদান ইতিমধ্যেই তারা বানিয়ে ফেলেছে। ট্রায়ালে সফল হলেই মহামারী একেবারে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব।
Chinese scientists have developed a new weapon to combat the #coronavirus. They say they have found a nanomaterial that can absorb and deactivate the virus with 96.5-99.9% efficiency. pic.twitter.com/ESFUOoTuIX
— Global Times (@globaltimesnews) March 29, 2020
সম্প্রতি, Global Times নামের চিনের এক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, চিনা বিজ্ঞানীদের একটি দল করোনাকে ধংস করার মোক্ষম পথ পেয়ে গিয়েছে। কোনও ওষুধ বা টিকা নয়, চিনা গবেষকরা তৈরি করেছেন একটি ন্যানোমেটেরিয়াল (Nanomaterial), যা কিনা করোনার জীবাণু শুষে ফেলতে পারে বা এর কার্যক্ষমতা ৯৬.৫-৯৯.৯% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এই ন্যানোমেটেরিয়ালটি উৎসেচকের মতো কাজ করে। এই ন্যানোমেটেরিয়াল দিয়ে পেন্ট, ফিল্টার, ইনসুলেশনের মতো জিনিস তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই চিনের ওই গবেষকদল নাকি বিভিন্ন সংস্থার সাথে কথা বলছে এই ন্যানোমেটেরিয়াল দিয়ে মাস্ক এবং চিকিৎসকদের জন্য PPE বানানর জন্য। যদিও, চিনের বাইরে থেকে এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে এটা যদি সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে উৎসস্থলেই সমাপ্তির পথে করোনা ভাইরাস।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ জানিয়েছে, সত্যিই যদি ন্যানোমেটিরিয়াল বানিয়ে ফেলে চিন তাহলে ভাইরাস ঠেকানোর একটা সম্ভাবনা আছে। ক্যানসার রোগের চিকিৎসাতেও ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। গবেষণাগারে বানানো মডিফায়েড ন্যানোমেটিরিয়াল (engineered nanomaterials) অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
করোনা ভাইরাসের দাপট সবার প্রথমে দেখা যায় চিনেরই ইউহান প্রদেশে। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারক ভাইরাসটি। আপাতত চিনে এর সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রভাব মারাত্মক। ইতিমধ্যেই করোনার জেরে পৃথিবীতে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে।মুশকিল হল, ভাইরাসটির উৎপত্তি এবং চরিত্র সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছে তেমন কোনও তথ্য নেই। বিজ্ঞানীদের একটা অংশ দাবি করেন, এটি কোনও প্রাকৃতিক সংক্রমণ নয়, বরং মনুষ্য সৃষ্ট। জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চিনই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।