অমিতের সঙ্গে মোদীর বাসায় জ্যোতিরাদিত্য, আজই দলবদলের জোরালো জল্পনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: আজই দলবদল করতে পারেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক সংকট তীব্র হওয়ার পরই জানা যায়, তাঁর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেখানে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন অমিত শাহ। বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, জ্যোতিরাদিত্যকে বিজেপিতে স্বাগত। সূত্রে খবর, জ্যোতিকে রাজ্যসভার সাংসদ এবং মন্ত্রিত্ব দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: অসমে ৪০০ জনকে বিচ্ছিন্ন রাখল প্রশাসন

সোমবার মধ্যপ্রদেশে মাঝরাতে শুরু হয় মহানাটক। কমলনাথ মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যই সোমবার রাতে পদত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সকলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার কথা স্বীকার করে সংবাদিকদের বলেন, ‘মাফিয়াদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ওদের সফল হতে দেব না।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার ফের নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। সূত্রের খবর, এ দিন রাতে একসঙ্গে ২২ মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।

রাত থেকেই জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “দলের তরফে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত সিন্ধিয়া। তিনি কথা বলতে পারবেন না।” ফলে জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়ে কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়তে থাকে। জ্যোতিরাদিত্য এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ বিধায়ককে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা চালান কমল নাথ। দলীয় সূত্রে খবর, আলোচনার জন্য সব দিক খোলা রাখা হয়েছে, এমনও নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যকে।

আরও পড়ুন: কেরলে ৩ বছরের শিশুর দেহে মিলল ভাইরাস, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৩

কিন্তু  এ দিন সকাল হতেই ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে যায়। নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান জ্যোতিরাদিত্য। সোমবার ভোপাল থেকে পাঁচ মন্ত্রী-সহ কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক ‘উধাও’ হয়ে যান। তাঁরা সকলেই জ্যোতিরাদিত্যর ঘনিষ্ঠ। ২৩০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২০ জন বিধায়ক নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে ৪ বেশি। অন্য দিকে বিজেপির রয়েছে ১০৭ জন বিধায়ক। এমন জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক যদি সমর্থন তুলে নেন, তা হলে কমল নাথের সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর জ্যোতিরাদিত্য। তাই তাঁকে নিজেদের দলে টানতে পারলে সরকার গঠনের দাবিদার হবে বিজেপি। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তারা দল ভাঙানোর ব্যাপারে আগ্রহী নয়। অন্য দিকে, বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে কী হয় সে দিকেও দিকেও নজর রাখছে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই শিবিরই।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest