ওয়েব ডেস্ক: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশকে করোনা-মুক্ত করতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলোও। এই পরস্থিতিতে বড় জমায়েতে উপস্থিত না থাকতে, দেশবাসীকে আবেদন জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মাস্ক পরে বাইরে বেরনোর ধুম লেগে গিয়েছে। চলছে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পালা।
আরও পড়ুন: করোনার জের, শান্তিনিকেতনে বাতিল বসন্ত উৎসব
এই পরিস্থিতিতে আবার ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে ঘরে ঘরে। কিন্তু সেই সংক্রমণকে অনেকে করোনার সঙ্গে গুলিয়ে বাঁধাচ্ছে বিপত্তি। ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তাই করোনা সংক্রমণ আর ঋতু পরিবর্তনের জেরে জ্বর-কাশি, এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করবেন কী করে?
সেই দিশা দেখালেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনিল গুরতু। তিনি বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিনে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ মানব দেহে ১০ দিন জারি থাকে। আর সঙ্গে শুকনো কাশি।তিনি আরও বলেছেন, যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে।
ছোট থেকে বড় কমজোড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে যাওয়া,সর্দি, কাশি এই সমস্ত সমস্যা লেগেই থাকে। জেনে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী খাবেন।
সাইট্রাস ফ্রুট অর্থাৎ টকজাতীয় খাবার খান। যেমন, বাতাবি লেবু, কমলালেবু, পাতিলেবু, মসুস্বি ইত্যাদি বেশি করে খান। সমস্ত সবুজ শাক সবজিতেই রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারি ব্রকোলি। যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, মিনারেল ও ফাইবার যা খুবই উপকারি।
আরও পড়ুন: টাকার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা! সুরক্ষিত থাকতে ডিজিটাল লেনদেনের পরামর্শ WHO-এর
রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা লাগা ও ইনফেকশেন দূর করতে খুবই উপকারি।নিয়মিত খান টক দই কারণ টক দই রোগের সঙ্গে লড়াই করার প্রধান অস্ত্র।