উহান: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরুটা হয়েছিল চীনের উহান শহরে। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালালেও উৎস শহর উহান করোনামুক্ত। শহরটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
সেখানকার কোনও হাসপাতালে এই মুহূর্তে একটিও করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি নেই। এ দিন এক জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরই এই মাইলফলক ছোঁওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং।
রবিবার চিনে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যুও হয়নি। এই নিয়ে টানা ১১ দিন করোনার প্রকোপে সেখানে কোনও প্রাণহানি ঘটল না। সরকারি হিসাব অনুসারে, উহানে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা গোটা চীনে মোট রোগীর প্রায় ৫৬ শতাংশ। উহানে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৬৯ জন, যা চীনে মোট মৃত্যুর প্রায় ৮৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৩ মে-র পরেও চলুক লকডাউন, দাবি বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের,কাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী
২৩ জানুয়ারি থেকে একটানা ৭৬ দিন লকডাউনের পর গত ৮ এপ্রিল উহান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে লকডাউন উঠে গেলেও সতর্কতা অবলম্বনে কোনও আপস করেনি স্থানীয় প্রশাসন। তাতেই সাফল্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই এর পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন মি ফেং। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘উহানের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে। ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছিল, এই সাফল্যেকর ভাগীদার তাঁরাও।’’
মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসায় সম্প্রতি লকডাউন তুলে নিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ। তবে বহিরাগতদের এখনও পরীক্ষা ছাড়া শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কারণ, বাকি অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ কমে গেলেও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশে রাশিয়া ফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দুঃস্থদের মুখে খাবার দিতে জমি বেচে দিলেন তাজাম্মুল ও মুজাম্মিল