স্টেজ টুতেই করোনা আটকাতে কড়া পদক্ষেপ, মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাবে জারি কার্ফু

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুম্বই: গোটা দেশজুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু আক্রান্তই নয়, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সোমবার কলকাতায় মারা গিয়েছেন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়। দেশের ১৯ রাজ্যে জারি লকডাউন। যদিও লকডাউন ভাঙার প্রবণতাও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দল বেঁধে রাস্তায় বেরোনোর প্রমাণ রবিবার ‘জনতা কারফিউ’-র দিন বিকেলে থালা, বাটি বাজানোর চিত্র থেকেই স্পষ্ট। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে পঞ্জাবের এবার মহারাষ্ট্রেও জারি হল কারফিউ। সাধারণ মানুষ আইন ভেঙে রাস্তায় বেরোলে পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে।

পুনে, নাগপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে থাবা বসিয়েছে করোনা। সে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ । দেশে সর্বোচ্চ। মৃত্যুও হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু অনেকের মধ্যেই লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারির কথা ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Covid-19 Lockdown: কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ করতে মোদীকে চিঠি মমতার

রবিবারের মহারাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাজের সীমান্ত সিলড করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। একটি জেলার সঙ্গে আরেকটি জেলারও সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে যে সমস্ত জেলাগুলিতে এখনও করোনা ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি, সেখানে ছড়ানোর সুযোগও তৈরি না হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে ফভারতে করোনা সংক্রমণ স্থানীয় পর্যায অর্থাৎ স্টেজ ২-তে রয়েছে। সংক্রমণ যাতে পরবর্তী পর্যায়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ অর্থাৎ স্টেজ ৩-তে না চলে যায় তা রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর।

লক ডাউনে কাজ হয়নি। তাই এ দিনই কড়া পদক্ষেপ করে পঞ্জাব সরকার। রাজ্য জুড়ে প্রথম কার্ফু জারি করে পঞ্জাব। এ দিনই এই ঘোষণা করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। পঞ্জাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেখানেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে, কোয়ারেন্টাইনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল

Gmail 6

ওই মুখপাত্র জানান, কার্ফু চলাকালীন কারোকে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরতে হলে, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে। তার পরেই নির্ধারিত সময়ের জন্য অনুমতি মিলতে পারে। অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত জেলায় সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রাজ্য সরকারের নির্দেশ সামনে আসার পরই একাধিক জায়গায় তা কার্যকর করতে রাস্তায় নেমে পড়ে পুলিশ। দোকানপাট বন্ধ করে মানুষকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে, কোয়ারেন্টাইনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest