নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২৭,৮৯২। মৃত্যু হয়েছে ৮৭২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১৮৫ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২০,৮৩৫।
লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সব রাজ্যের বৈঠকের আগে উদ্বেগ বাড়াল দেশের করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা। সংক্রমিতের সংখ্যা ফের বাড়ল হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। উদ্বেগ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের করোনা সংক্রান্ত খতিয়ানও। করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের দাওয়াই সত্ত্বেও তা কড়া ভাবে কার্যকর না করার অভিযোগ উঠেছে বহু রাজ্যের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অভিযোগ, ২০ এপ্রিল লকডাউনে আংশিক ছাড়ের কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা তৃণমূল স্তরে মানা হয়নি। এই অভিযোগের আবহে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৩৯৬।
আরও পড়ুন: লকডাউন তোলার রূপরেখা! মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে মোদী, রয়েছেন মমতাও
মহারাষ্ট্রের করোনা-পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার। মহারাষ্ট্রে মোট ৮ হাজার ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ওই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। অন্য দিকে, এ রাজ্যেও আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৯। এ রাজ্যে সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। যদিও নবান্নের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪৬১। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লির করোনা-পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। গুজরাতে ৩ হাজার ৩০১ জন, রাজস্থানে ২ হাজার ১৮৫ জন, মধ্যপ্রদেশে ২ হাজার ৯৬ জন এবং দিল্লিতে ২ হাজার ৯১৮ জনের সংক্রমিত হয়েছেন।
এছাড়াও আরও ৫ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১ জন, মেঘালয়ে ১২ জন, ত্রিপুরাতে ২ জন, ঝাড়খণ্ডে ৮২ জন ও অসমে ৩৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অসমে ১ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩ জনের এবং মেঘালয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১ জন, ত্রিপুরাতে ২ জন, ঝাড়খণ্ডে ১৩ জন ও অসমে ২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সুখবর, আগামী মাসে WHO-র শীর্ষপদে ভারতীয়