নিজামউদ্দিন: বিদেশিদের কেন আটকানো হয়নি? প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের ভূমিকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে যখন দেশ লড়ছে, তখন বিদেশিদের নিয়ে ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে তবলিঘি জামাত। যার মাসুল গুণতে হচ্ছে গোটা দেশকে। একইসঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাদের দায়িত্ব সেই পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

মার্চের প্রথম দিন থেকে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সমাবেশে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া থেকে ধর্মপ্রচারকরা এসে জড়ো হয়েছিলেন। ওই সব দেশে তত দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন তাঁদের এ দেশে আসা আটকানো হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে এখন।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়ঙ্কর অবক্ষয়ের মুখে মানবসভ্যতা, করোনায় উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের

তবলিঘি জামাতের ভবন বা মরকজ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসায় সামগ্রিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে সরকার। আরও আগেই সরকারি তৎপরতা শুরু হয়নি কেন, সে প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, তাঁরা এ নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। কিন্তু রাহুল গান্ধী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই করোনা নিয়ে সরকারকে সাবধান করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনও তৎপরতা দেখায়নি।

১৩-১৫ মার্চ সমাবেশ ছিল তবলিঘির। ২২ মার্চ বিদেশি বিমান আসা বন্ধ করে কেন্দ্র। তার আগে ১১ মার্চ বিশেষ কিছু ক্ষেত্র বাদ দিলে সব ভিসা স্থগিত রাখা হয়েছিল। চিন, ইটালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন বা জার্মানির মতো দেশগুলি থেকে আসা ভারতীয় বা বিদেশিদের ১১ দিন গৃহবন্দি থাকার নির্দেশও জারি হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ যে প্রথম দিকে রাজ্য স্তরে ঠিক মতো কার্যকর হয়নি, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারাও মানছেন। সেই কারণেই বিদেশি ধর্মপ্রচারকরা আসতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: করোনার কালবেলায় চুটিয়ে নীলছবি দেখছে ভারতীয়রা, বলছে সমীক্ষা

এখন প্রশ্ন, করোনা রুখতে প্রকাশ্যে ৫ জনের বেশি একসঙ্গে নয়, দিল্লি সরকারের এ নির্দেশের পরও কোন যুক্তিতে ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হল? বিদেশ থেকে আসা মানুষের সূত্র ধরে যখন দেশে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে তখন একসঙ্গে আড়াইশোর বেশি বিদেশিকে কেন ধর্মীয় সম্মেলনে অংশ নিতে দেওয়া হল?  দুই সরকারও কি দায় এড়াতে পারে? জামাতের সম্মেলনের সময় রাজধানীতে জারি হয়ে যায় মহামারি প্রতিরোধ আইন। ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজনের কথা তাঁরা জানতেনই না
বলে দাবি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। প্রশ্ন উঠছে, করোনা নিয়ে যখন সতর্কতার কথা বলা হচ্ছে তখন, তবলিঘি জামাতের সমাবেশের কথা কেন জানতেই পারল না দিল্লি সরকার?

নাকি জামাতের ধর্মীয় সম্মেলনের কথা, দিল্লি সরকারের জানা থাকলেও সম্মেলন বন্ধের চেষ্টা করা হয়নি? লক-ডাউনের পরও তবলিঘি জামাতের সদর দফতরে রয়ে যাওয়া দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে কেন সরানোর ব্যবস্থা করল না কেন্দ্রের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিস? দেশজুড়ে সংক্রমণে আতঙ্কের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে একঝাঁক প্রশ্ন।আর এখন বিদেশ মন্ত্রক বলছে, ভবিষ্যতে আর কোনও তবলিঘি প্রচারককে ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এও জানিয়েছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই পর্যটক ভিসায় এসে এ দেশের ধর্মপ্রচার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা নিয়ম ভেঙেছেন, তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: এপ্রিল ফুল দিবসে করোনা নিয়ে ভুয়ো গুজব রটালে কঠিন শাস্তি, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest