করোনা চিকিৎসায় ধর্মের বিভাজন! আহমেদাবাদে হিন্দু- মুসলিমদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আহমেদাবাদ: করোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আলো জ্বালাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ তাঁর নিজের রাজ্যেই দেখা গেল ভিন্ন ছবি। করোনা আক্রান্ত হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত হয়েছে আহমেদাবাদ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল ১২০০ পৃথক বেড বানিয়েছে ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এ বিষয়ে মেডিক্যাল সুপার গুণবন্ত এইচ রাঠোর জানিয়েছেন, হিন্দু রোগীদের জন্য একটি ওয়ার্ড বানানো হয়েছে এবং মুসলিম রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড বানানো হয়েছে। আর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Lockdown 2.0: কী নিষিদ্ধ?একনজরে দেখুন কেন্দ্রের নির্দেশিকা

চিকিৎিসক রাঠোর জানিয়েছেন, ‘সাধারণত মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকে। কিন্তু এখানে হিন্দু ও মুসলিম রোগীদের জন্য আলাদা বিভাগ করা হয়েছে।’ কিসের ভিত্তিতে এই পৃথকীকরণ তা জানতে চাওয়া হলে , চিকিৎসক রাঠোর বলেন, ‘এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। আপনারা তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন।’

আরও পড়ুন: ২০ এপ্রিল থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড়, নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

HEALTH CORONAVIRUSSOUTHASIA

এ বিষয়ে গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যোগাযোগ করে। প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ‘আমি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিনা। সাধারণ ভাবে হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকে। আমি বিষয়টি জানব।’ প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে খবর নেই, উপমুখ্যমন্ত্রী জানেন না, তাহলে কার নির্দেশে হাসপাতালে এই বিভাজন? উত্তর নেই। আহমেদাবাদের জেলা শাসক কে কে নিরালো বলেছেন তিনি এই খবর জানেন না। নিরালা জানান তাঁদের তরফ থেকে এরকম কোনও নির্দেশ হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা তাঁর জানা নেই বলে কথা শেষ করেন জেলা শাসক।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত এক লাফে বাড়ল ১৪৬৩, মৃত্যু বেড়ে ৩৪৬

coronavirus hospital 759 1

এই অবস্থায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক রোগী জানান, ‘রবিবার রাতে ২৮ জন রোগী ভর্তি হন এ ৪ ওয়ার্ডে। পরে আমাদের সি ৪ ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন আমাদের সরানো হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানায় হয়নি। তবে যাদের নাম সংগ্রহ করা হল তারা সকলেই একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের। এ বিষয়ে পরে আমরা হাসপাতলের স্টাফের সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান, ‘উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের সুবিধার জন্যই এটা করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: খাবারটুকুও নেই, ঘরে ফেরার তাগিদে বান্দ্রা স্টেশনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest