নয়াদিল্লি: চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় সরকারকে বিঁধল কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রত্যেকেই এক সুরে বলেন যে এটি ঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণের জেরে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বর্ধিত ডিএ আপাতত দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেড় বছরের বর্ধিত মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ! হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে বসে রইল ৬৯ জন করোনা রোগী
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দেশের এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী ও সশস্ত্র বাহিনীকে এই অর্থকষ্টে ফেলার প্রয়োজন ছিল না বলেই মনে করেন প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিং বলেন যে যাদের ডিএ কাটা হলো, তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তিনি বলেন সরকারি কর্মচারী ও সেনাবাহিনীর লোকদের ওপর বোঝা চাপানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না। কংগ্রেসের করোনা নিয়ে গঠিত বিশেষ গোষ্ঠীর বৈঠকে এই কথা বলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
একই সুরে রাহুল গান্ধী বলেন যে আম আদমির টাকা নিয়ে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্টে ঢালছে কেন্দ্র। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন যে বুলেট ট্রেন, সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্ট চলছে কিন্তু মানুষের ডিএ কাটা পড়ছে! কংগ্রসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন এই টাকাটি পরিযায়ী শ্রমিকদের দেওয়া হলেও মানা যেত। কিন্তু নতুন পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন বাড়ি যখন হচ্ছে, তখন বাকিদের টাকায় হাত পড়ছে কেন।
প্রসঙ্গত বর্ধিত ডিএ না দিয়ে ৩৭,৩০০ কোটি টাকা বাঁচাবে কেন্দ্র। মোদী সরকার চায় রাজ্য সরকারি কর্মীরাও যেন বর্ধিত ডিএ না পান। তাহলে সব মিলিয়ে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা বাঁচানো যাবে। অনেক সমালোচনা হলেও দিল্লির রাজপথ চত্বর ঢেলে সাজাবার যে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, সেটা বাতিল হওয়ার কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন: ডেলিভারি বয় মুসলিম! তাই মুদির সামগ্রি ফেরত, গ্রেফতার মহিলা