মাত্র ৪৫ মিনিটে করোনাভাইরাসের র‍্যাপিড টেস্ট, জানুন জরুরি তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক:  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) সম্প্রতি দেশের ‘হটস্পট’ এলাকাগুলিতে কোভিড -১৯ এর নির্ণয়ে দ্রুত অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন পরামর্শ দিয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতায় কোভিড -১৯ রয়েছে, না কি এটির হাত থেকে নিজেকে পুনরুদ্ধার করেছে, তা শনাক্ত করতে এই র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে। পরীক্ষাটি ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে করোনাভাইরাসের অতীত বা বর্তমান সংস্পর্শের প্রমাণ শনাক্ত করতে পারে। রোগ নির্ণয়ের এই পদ্ধতিতে সম্ভাব্য রোগীর গলা অথবা নাকের ভিতর থেকে সোয়্যাবের নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় না। রোগীর দেহ থেকে রক্ত সেরাম বা প্লাজমা সংগ্রহ করে সাধারণ সরঞ্জামের সাহায্যে তাড়াতাড়ি এই পরীক্ষা করা সম্ভব। জেনে রাখুন অ্যান্টিবডি টেস্ট বা র‍্যাপিড টেস্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে হাঁড়ির হাল! বন্ধ নতুন নিয়োগ, নির্দেশিকা জারি করে জানাল নবান্ন

  • এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার যে পদ্ধতি চালু তাকে বলা হয় PCR বা polymerase chain reaction, যা রোগীর গলা বা নাক থেকে নেওয়া সোয়্যাবের মধ্যে থাকা Sars-CoV-2 ভাইরাসকে চিনতে পারে। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য ৫ ঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে। পরীক্ষার ফল জানা যায় ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে।
  • অ্যান্টিবডি টেস্টিং পদ্ধতিতে রোগীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তীব্র সংক্রমণ ঘটেছে এমন এলাকার বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা যায় তাঁদের কার কার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে অথবা নেই। যে সমস্ত রোগী বিশেষ ওষুধ ব্যবহার না করে Covid-19 থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা জরুরি। এই ধরনের রোগীদের বলা হয় ‘করোনা-ব্লকার’।
  • আরও পড়ুন:  হাতের মুঠোয় করোনা ঠেকানোর ভ্যাকসিন! দাবি মার্কিন গবেষকদের
  • যাঁরা অ্যান্টিবডি টেস্ট বা র‍্যাপিড টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের এরপরে গলা ও নাক থেকে সোয়্যাব সংগ্রহ করে RT-PCR (reverse transcription-PCR) পদ্ধতির দ্বারা চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ পজিটিভ ফল পাওয়ার পরে আরও একবার যাচাই করে নেওয়া হবে।
  • অ্যান্টিবডি টেস্ট বা র‍্যাপিড টেস্টের সাহায্যে ডেঙ্গি ও চিকুনদুনিয়া-সহ বেশ কিছু রোগের জীবাণু নির্ণয় করা সম্ভব। ভারতের প্রায় প্রতিটি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা সুলভে করার ব্যবস্থা রয়েছে। এই পরীক্ষা করার বিষয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে প্যাথোলজিস্টদের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম কম খরচে বিপুল পরিমাণে দ্রুত উৎপাদন করা সম্ভব।
  • র‍্যাপিড টেস্টিং কিট ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) দ্বারা অনুমোদিত। এই পদ্ধতি খুবই সহজ এবং এর দ্বারা পরীক্ষার ফলও মেলে দ্রুত ও সঠিক। হাসপাতাল ছাড়াও দেশের যে কোনও উন্নত মানের পরীক্ষাগারে এই টেস্ট করা যায়।
  • সারা বিশ্বে বর্তমানে দুই ধরনের Covid-19 র‍্যাপিড টেস্ট চালু রয়েছে। এর একটি হল অ্যান্টিজেন-এর উপস্থিতি পরীক্ষার এবং অন্যটি অপ্রত্যক্ষ অ্যান্টিবডি-র উপস্থিতি পরীক্ষা। অ্যান্টিজেন ডিটেকশন টেস্টে সংক্রমণের সময় নাক ও গলা থেকে নেওয়া নমুনায় ভাইরাল উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে দেখা হয়। কিন্তু এই ধরনের পরীক্ষার ফল জানতে দুই দিন মতো সময় লাগতে পারে। তাই অ্যান্টিবডি টেস্টে রক্তের নমুনা যাচাই করে তাতে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি যাচাই করে সংক্রামিত রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেমন সাড়া দিচ্ছে, তা নির্ণয় করে। টেস্টিং মিক্সে এই নমুনা যোগ করলে তাড়াতাড়ি ফল মেলে।

আরও পড়ুন: বাঙালি লাস্যময়ী কন্যা ঋতাভরী! দেখুন সুন্দরীর বাছাই ছবি…

Gmail

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest