নয়াদিল্লি: করোনার কারণে স্তব্ধ দেশের বাজার। লকডাউন খুললেও কবে বাজার আবার চাঙ্গা হবে জানে না কেউই। এই সংকটকে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে ব়ড়় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রক্তন গভর্নর তথা অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন। তাঁর অনুমান, শুধু করোনার কারণেই চাকরি যেতে পারে ১৩ কোটি ৬০লক্ষ ভারতীয়র।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনা ভাইরাসের বলি ১০৯ জন, আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ ছাড়াল
‘হাল আমলে ভারতের সবচেয়ে বড় সংকট’ শীর্ষক প্রবন্ধে রাজন লিখেছেন, “২০০৮-০৯ সালে বাজার পড়ে যাওয়ায় চাহিদা তলানিতে চলে গিয়েছিল। তবু এ দেশের কর্মীরা কাজে যেতে পারতেন। কারণ আমাদের সরকারের আর্থিক কাঠামো শক্তপোক্ত ছিল। খুব দ্রুত উন্নতি করছিল বিভিন্ন সংস্থা। আমাদের গোটা আর্থিক পরিস্থিতিটাই অনুকুল ছিল।”
রাজনের দাবি পরিস্থতি আমূল বদলেছে। তিনি লিখছেন, “লকডাউন পেরিয়েও যদি করোনা মোকাবিলা করা না যায়, তবে অন্য পথ খুঁজতে হবে। ভাবতে হবে লকডাউনের পরে কী ভাবে লড়া যায়। আরও বেশি সময় দেশকে লক়ডাউন রাখা প্রায় অসম্ভব। তাই অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত অঞ্চলগুলিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই কাজ শুরু করে দিতে হবে।” রাজন লিখেছেন, যা পরিস্থিতি তাতে অতীতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতেই হবে সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গোটা সমস্যা সামাল দিতে চাইলে লাভ হবে না। তাঁর দাবি, ২০০৮-০৯ সালেও অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু তখন অবস্থা তুলনায় পোক্ত ছিল। কাজে যোগ দিচ্ছিলেন মানুষ। এখন গোটা পরিস্থিতিই প্রতিকূল।
আরও পড়ুন: কমেনি জ্বর, হাসপাতালে ভর্তি করা হল করোনায় আক্রান্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে
দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনর অবশ্য মোদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়েও মুখ খুলেছেন। তাঁর মত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব কাজ করতে শুরু করলে এই সঙ্কট থেকে বেরনোর সময় আরও দীর্ঘায়িত হবে। রাজন তাঁর ব্লগ “পারহ্যাপস ইন্ডিয়াস গ্রেটেস্ট চ্যালেঞ্জ ইন রিসেন্ট টাইমস” এ লেখেন যে এখন এমন একটা মুহুর্ত যখন ‘অনেক কাজ করা বাকি’। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গেলে ভারতের শক্তির উৎসগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।