মুম্বই: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও, শ্রীলঙ্কার অবস্থা ভারতের থেকে ভালো। তাই সেই দেশে ২০২০ আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে। বিসিসিআই-কে এমনই প্রস্তাব দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতে করোনা মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলেও পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চত নয়। আপাতত দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্বের লকডাউন চলছে, যা প্রত্যাহার করার কথা আগামী ৩ মে।লকডাউন উঠে গেলেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ও সরকারি বিধিনিষেধের জেরে তড়িঘড়ি বিসিসিআইয়ের পক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ শুরু করা কার্যত অসম্ভব।
এমন পরিস্থিতিতে বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগেও বিদেশে আইপিএল আয়োজনের নজির রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। ২০০৯ সালে আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। ২০১৪ সালে আইপিএলের শুরুর বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে।
আরও পড়ুন: হতে পারে তথ্য চুরি, Zoom app থেকে জনগণকে সতর্ক করল কেন্দ্র
এবারও পরিস্থিতি বিরূপ হয়ে দাঁড়ালে ভারতের বাইরে অনুষ্ঠিত হতে পারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ। সেদিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমিরশাহীর দরজা খোলা থাকলেও বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার নাম। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড নিজে থেকেই বিসিসিআইয়ের এই কোটি টাকার ঘরোয়া লিগ আয়োজন করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা সিংহল ডেইলি লংকাদীপা সংবাদপত্রে জানিয়েছেন, “আইপিএল বাতিল করলে বিসিসিআই ও সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। যদি ওঁরা শ্রীলংকায় ম্যাচ আয়োজন করে তাহলে ভারতীয় দর্শকরা টিভিতে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এর আগেও আইপিএলের বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে করোনা মোকাবিলায় ভারতের তুলনায় এখানের পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হবে। আমাদের প্রস্তাবে বিসিসিআই কী সাড়া দেয়, তার প্রতীক্ষায় রয়েছি।”
এদিকে আইপিএলের বিদেশে খেলায় সায় রয়েছে আরসিবি হেড কোচ সাইমন কাটিচেরও। তবে তাঁর পছন্দের অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। এসইএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটিচের বক্তব্য, “আইপিএলের বেশ কিছু দল বিশেষ করে আমরা বিদেশে খেলতে চাইবো। কারণ আমাদের অধিকাংশ বিদেশি ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ান অথবা দক্ষিণ আফ্রিকান।”
আরও পড়ুন: গণনায় ভুল! করোনা আঁতুরঘর উহানে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল ৫০ শতাংশ