টোকিয়ো: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের আবহে একবছরের জন্য অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করল জাপান। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কাছে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাতে সাড়া দিয়েছে IOC। ২০২১ সাল পর্যন্ত অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ২ বিদেশফেরত! আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯
করোনাভাইরাসের থাবায় বেসামাল একের পর এক দেশ। ক্রীড়াক্ষেত্রের মেগা সব ইভেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ইউরো কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি যদি না হয়, তা হলে টোকিয়ো অলিম্পিক্সও হয়তো বছর খানেক পিছিয়ে যাবে। এরকম জল্পনা চলছিলই।মঙ্গলবার আবে বলেন, ‘‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাখকে এক বছর গেমস পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম যাতে অ্যাথলিটরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে পারে।’’ তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে বাখ সহমত পোষণ করেন বলেই জানান আবে। জাপান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেওয়ালিলখন হয়তো স্পষ্ট ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ পিছিয়েই যাচ্ছে এক বছর। আগামী বছর হয়তো হতে চলেছে অলিম্পিক্স।
আরও পড়ুন: কণিকা কাপুরের টেস্ট ফের করোনা পজিটিভ, সংস্পর্শে আসা তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ
এ দিকে একাধিক দেশ অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির উপরে। কানাডা জানিয়েছিল, টোকিয়ো অলিম্পিক্সে তারা অংশ নেবে না। অস্ট্রেলিয়াও জানায়, তারাও এখন টোকিয়োতে যাচ্ছে না।এর ফলে চাপ বাড়ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা-র উপরে। নানা দেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সুর বদলায় জাপানও। নিজের দেশের সংসদে আবে বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ অলিম্পিক্স যদি করা সম্ভব না হয়, তা হলে গেমস পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। সেই মতোই জাপানের প্রধানমন্ত্রী মেগা ইভেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির প্রেসিডেন্টকে। তিনিও আবের সঙ্গে একমত হন।
আরও পড়ুন: ‘বাবুদের অসুখ’ বলে করোনাকে হ্যাটা করবেন না! আক্রান্ত হতে পারে ৩০ কোটি
অলিম্পিক্স বরাবরই নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে এসেছে। ১৯১৬, ১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালে বিশ্বযুদ্ধের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছিল অলিম্পিক্স। এ বারই হয়তো প্রথম বার অলিম্পিক্স পিছিয়ে যেতে চলেছে।