নয়াদিল্লি: ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা নির্ণয়ে সমস্যার কারণ হচ্ছে টেস্ট কিটের অভাব।এবার ভারতেই তৈরি হবে কোভিড টেস্ট কিট। ফলে আর বিদেশের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “মে মাস থেকে ভারতেই আমরা আরটি পিসিইআর টেস্ট কিট তৈরি করতে পারব। সব প্রক্রিয়া একদম শেষ স্তরে রয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অনুমতি পেলেই এই টেস্ট কিট তৈরি শুরু করে দেব আমরা। এতে আমাদের অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। ৩১ মে-র মধ্যে প্রতিদিন আমরা এক লক্ষ টেস্ট করতে পারব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
এর দাম বাইরে থেকে আমদানি করা টেস্ট কিটের চার ভাগের এক ভাগ বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। একটি সিঙ্গল কিটের দাম ৮০,০০০ টাকা। আর একটি কিটের সাহায্যে ১০০ জন রোগীর পরীক্ষা করা যাবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা করা যাবে কোভিড আক্রান্তের, মমতার সিদ্ধান্তের পথেই কেন্দ্র
কোভিড টেস্ট কিট নিয়ে অবশ্য অভিযোগ আজকের নয়।এমাসের গোড়া থেকেই ৫ লক্ষেরও বেশি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট ভারতে রফতানি করে ওই দুই চিনা সংস্থা। পরে সরকার তা রাজ্যগুলির মধ্যে সরবরাহ করে। আইসিএমআর ঘোষণা করেছিল, করোনা হটস্পটের মধ্যে বাস করা সমস্ত ব্যক্তির উপরেই এই পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু নতুন টেস্ট কিট সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিল রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্য। তাদের দাবি, এই কিটের সঠিক ফল দেওয়ার পরিমাণ ৫.৪ শতাংশ।
অভিযোগ পেয়ে টেস্ট কিট পরীক্ষা করে দেখে আইসিএমআর-এর তরফে রাজ্যগুলিকে বর্তমানে এই কিট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। তারপর গতকাল সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই চিনা সংস্থার থেকে কিট কেনার কারণে ভারতের কোনও অর্থই খরচ হয়নি। কারণ ওই অর্ডারটিই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার আগে কোনও টাকা অ্যাডভান্স করা হয়নি। কিটে ত্রুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়েছে পুরো অর্ডার। এই সমস্যা সমাধানে এবার দেশীয় পদ্ধতিতেই এই টেস্ট কিট তৈরি করতে চাইছে ভারত। যাতে অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়। সেই ঘোষণাই এদিন করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, অক্টোবরের মধ্যে বাজারে আনা চাই করোনা ভ্যাকসিন। তাই আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করে দেবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। পুনের এই সংস্থাটিকে আরও অনেকগুলি বিদেশি সংস্থার মতো উৎপাদন প্রকল্পের শরিক বানিয়েছে। অতীতেও সিরাম ইউনিভার্সিটি অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথ ভাবে ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল।
আরও পড়ুন: ৫ দিন মেয়ের দেহ আগলে মা, আতঙ্ক বেলঘরিয়ায়