দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট, নিষিদ্ধ হল রাজস্থানে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যোধপুরে: করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে গরিবদের ত্রাণ বিলির সময় ফটো বা সেলফি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কথায়, গরিব সমাজের আর্থিক ভাবে অনগ্রসর অংশকে খাবার ও রেশন সরবরাহ করা বা দান করা সামাজিক কাজ। তা প্রচার বা প্রতিযোগিতার মাধ্যম হতে পারে না। তাই ত্রাণ বিলির সময় ফটো তোলা বা সেলফি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের পরিষ্কার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনেও মিলবে ছাড়! লাল-কমলা-সবুজ জোনে দেশকে ভাগ করছে কেন্দ্র

শনিবার বিগ বস খ্যাত অভিনেত্রী হিমাজা অপর বিগ বস খ্যাত আশু রেড্ডির সঙ্গে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে কর্মীদের দেওয়া সেই সাহায্যের ছবিও তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই আবার যে নৈতিক প্রশ্নটা উঠে গিয়েছে, তা হল চরম দুঃসময়ে মানুষকে সাহায্য করা ভালো, কিন্তু সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এটা কি সত্যিই মানুষকে সাহায্য নাকি নিজের প্রচার? এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সাহায্য করে ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিলেন রাজস্থান।

মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কথায়, গরিব সমাজের আর্থিক ভাবে অনগ্রসর অংশকে খাবার ও রেশন সরবরাহ করা বা দান করা সামাজিক কাজ। তা প্রচার বা প্রতিযোগিতার মাধ্যম হতে পারে না। তাই ত্রাণ বিলির সময় ফটো তোলা বা সেলফি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের পরিষ্কার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে আক্রান্ত ৩ সাংবাদিক, তাজ হোটেলের ৬ কর্মীরও করোনা পজিটিভ!

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, যাঁদের প্রকৃতই খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন কেবল তাঁরাই যেন তা গ্রহণ করেন। যাঁদের ক্ষমতা রয়েছে বা যাঁরা এই সংকটের মধ্যেই চালিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা যেন অযথা সুযোগ না নেন।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভুল কিছুই বলেননি। রাজনীতিকদের মধ্যেও অনেককে দেখা যাচ্ছে, এই সংকটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাবলিসিটির জন্য রাস্তায় নেমে ত্রাণ বিলি করছেন, সেই ফটো তোলা হচ্ছে বা ফেসবুকে লাইভ করা হচ্ছে। শুধু তা নয়, যে কাজটা পুলিশ বা প্রশাসনের কর্মী অফিসাররা করতে পারেন, তা অনেকে নিজেই করতে যাচ্ছেন। আবার তখন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও খবর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং এসব ক্ষেত্রেও অনেক সময়েই সোশাল ডিস্টেন্সিংয়ের শর্ত মানা হচ্ছে না। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে অসংখ্য। দেশ জুড়ে বহু মানুষ কোনও রকম প্রচার ছাড়াই গরিব দুঃস্থদের দান ধ্যান করছেন। নিঃস্বার্থ ভাবেই তা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: লকডাউন ভঙ্গকারীদের হামলায় হাত খোয়া গেল পুলিশের,আহত আরও ২

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest