নয়াদিল্লি: আজও বাড়ল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আজ বৃহস্পতিবার নতুন করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে ৮৮ জনের। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৪। এখনও পর্যন্ত দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হলেও বুধবারের তুলনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১ জন। অন্য দিকে নতুন করে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত ১৭ জন।
সারা বিশ্বেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ১৬৯ জন। করোনায় আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৬২৩ জন। তবে এর পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠেছেন লক্ষাধিক মানুষ।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ স্টেজ থ্রি-তে এখনও না পৌঁছলেও, তা যে কোনও সময় ঘটতে পারে। অর্থাৎ সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত দেশে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও ভাবে বিদেশ-যোগ রয়েছে। হয় তাঁরা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ঘুরে এসেছেন, বা বিদেশ থেকে আসা কোনও মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন।
আরও পড়ুন: জেনে নিন, কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি
ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য উদ্বিগ্ন বাংলা ও বিহার। এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অন্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে শ্রমিকদের সাহায্য করতে বলেছেন। ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্যাকেজও ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে বৃহস্পতিবারই করোনা নিয়ে টেলিকনফারেন্সে বসেছিল জি-২০ দেশগুলি। তারা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩ কোটি ৮২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঢালবে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যাতে করোনা ধাক্কা সামলে সবাই ফের মাজা শক্ত করে দাঁড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নয়াবাদের বৃদ্ধ আশঙ্কাজনক, দিতে হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্ট
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিসিয়াস জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে শুধু লকডাউনই যথেষ্ঠ নয়, রোগীদের খুঁজে বের করা, আইসোলেশন করা, পরীক্ষা করা, চিকিৎসা করার বিষয়েও সমান জোর দিতে হবে। করোনাভাইরাসকে আঘাত হানতে আরও আগ্রাসী হতে হবে। তাই লকডাউনের পরে তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করতে হবে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত কারা। কাদের শরীরে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এবং এই প্রক্রিয়ার একমাত্র রাস্তা হল, — টেস্টিং টেস্টিং এবং টেস্টিং। শুধু পরীক্ষা করে যাওয়া। সে জন্য পরিকাঠামো বাড়ানো। আর যাঁদের শরীরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়বে তাঁদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এমন অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের একটি ও দেশের অন্যান্য রাজ্যে আরও ৩৪টি ল্যাবকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব তাতে মহারাষ্ট্র ও কেরলে করোনাভাইরাসে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত। সেই কারণে এদিনও মহারাষ্ট্রের এবং তামিলনাড়ুর (কেরল ঘেঁষা) চারটি ল্যাবকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে একজনের মৃত্যুর পরও কাশ্মীরে দেওয়া হচ্ছে না ৪ জি, মোদিকে চিঠি চিকিৎসকদের