কলকাতা: দিল্লি, ওড়িশা সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল। সেই পথে হাঁটল বাংলাও। করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার।রবিবার জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, প্রকাশ্য জায়গায় বেরোলেই মুখ-নাক ঢাকা বাধ্যতামূলক। মাস্ক না থাকলে ওড়না বা রুমালও ব্যবহার করা যাবে। মোদ্দা কথা, মুখ-নাক ঢেকেই রাস্তায় বেরোতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল সরকারের অন্দরে। ইতিমধ্যেই ভারতের কয়েকটি রাজ্যে মুখাবরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চিকিত্সকদের একাংশের দাবি, যেহেতু ড্রপলেট থেকেই এই রোগ ছড়ায়, সেহেতু প্রকাশ্যে মুখাবরণের ব্যবহার সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ। ওই চিকিৎকদেরই একটি অংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, যখন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ের দোরগোড়ায় পৌঁছয়, অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে মুখাবরণের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে ‘রং ফিকে’ হালখাতার, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ
যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা স্বীকার করা হয়নি, তবে সরকারের এই পদক্ষেপ তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন এ চিকিৎসকরা। এ দিনের নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মুখাবরণ ব্যবহার করলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের গতি অনেকটাই রোধ করা যায়। এবং সেই কারণেই সকলের মুখাবরণ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ভালো। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের বিস্তার রুখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতোমধ্যে রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা রোগী! সংক্রমণের শঙ্কায় বন্ধ হল RG Kar-এর ২ বিভাগ
সম্প্রতি মাস্ক পরা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বদল আনে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাস্ক পরা প্রয়োজন বলে প্রথমে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন ঘরের বাইরে বেরোলেই প্রত্যেককে মাস্ক পরার কথা বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ঘরে তৈরি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিলল ড্রাগ কন্ট্রোলের ছাড়পত্র, দিনে ১০লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি হবে কলকাতায়