নয়াদিল্লি: এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২৯.৮ শতাংশ নিজামউদ্দিনের জামাতে অংশ নিয়েছিলেন বা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। কেবলমাত্র এই একটি ধর্মীয় সভা থেকেই দেশের ২৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
শনিবার সাংবাদিকদের সামনে এমনই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল। মধ্য মার্চে নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সভায় অংশ নেন প্রায় ২৫০০ দেশি-বিদেশি মানুষ। সভার পর তাঁরা প্রত্যেকে সড়কপথে ও ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। আর তার ফলে সেই রাজ্যেও ছড়ায় সংক্রমণ। দেশের মোট ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিজামুদ্দিনের সঙ্গে জড়িত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ২০ এপ্রিল থেকে যে ক্ষেত্রগুলিতে কাজ শুরু হবে, চোখ বুলিয়ে নিন কেন্দ্রীয় তালিকায়
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর মধ্যে তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁরা তবলিঘি জামাতে অংশ নিয়েছিলেন বা অংশগ্রহণকারীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। দিল্লিতেও মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ৬৩ শতাংশের সংক্রমণের সূত্র নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাতের সভা। একইভাবে তেলেঙ্গানায় সংখ্যাটা ৭৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৯ শতাংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৬১ শতাংশ।
তবলিগ জামাতে বহু বিদেশী আসেন। এবারও তাঁরা এসেছিলেন। অনেকের ধারণা এই সংক্রমণ তাদের থেকেই হয়েছে। এই ধারণার সঙ্গে সঙ্গে যে প্রশ্ন ওঠে তা হল আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা হল না কেন। তাহলে এমন পরিস্থিতি হত না। বিষয়টি যে এত সিরিয়াস তা কি কেন্দ্র সরকার প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেনি? কেন্দ্র যদি এর গভীরতা বুজতে না পারে তাহলে নিজামুদ্দিন তা বুঝবে কেমন করে।
অজিত দোভালকে যখন পাঠানোই হল, তখন আগে পাঠানো হল না কেন। কেজরিওয়ালই বা চোখ বুজে থাকলেন কেন? এটা তো শাহিনবাগ নয়। তাহলে তার চুপ মেরে থাকার যুক্তি কোথায়? এর কোনোটির উত্তর মেলেনি। যা মিলেছে তা হল, চোরা বিদ্বেষ। করোনার থেকে তা কম প্রাণঘাতী নয়। এমনই ধারণা চেতনা সম্পন্ন লোকজনের।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ: কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে পুরো এলাকা সিল, জেনে নিন জায়গাগুলির নাম