ওয়েব ডেস্ক: ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে দেশে যাতে ওষুধের ঘাটতি না হয় তাই প্যারাসিটামল-সহ প্রায় ২৬টি ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। আর এর ফলে আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এবং দেশে ওষুধ উৎপাদন তথা আমদানি-রফতানিতে যুক্ত সংস্থাগুলির সর্ববৃহৎ সংগঠন সূত্রের খবর, অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটামিন, স্টেরয়েড, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, হৃদ্রোগের ওষুধ, ব্যথার ওষুধের মতো ৫৮ ধরনের ওষুধের উপাদানের (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্টস বা ‘এপিআই’) জন্য মূলত চিনের উপর নির্ভর করে ভারত। কিন্তু চিনে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে সে দেশের কার্যত ৯৯ শতাংশ ওষুধ ও কাঁচামালের কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। গত প্রায় এক মাসের বেশি সেখান থেকে ওষুধ আমদানি করতে পারছে না ভারত। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে ওষুধ সম্পর্কে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
আরও পড়ুন: আতঙ্কিত হবে না, জেনে নিন করোনা ভাইরাস আর সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্য
কিন্তু বাজারে ফুরিয়ে আসছে এই ওষুধ। তাই জোগানের ঘাটতিতে প্যারাসিটামলের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। শুধু প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ওষুধ না, ৭০ শতাংশ দাম বেড়েছে অ্যাজিথ্রোমাসিন ওষুধেরও। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ জাতিয় অসুখের জন্য ব্যবহৃত হয়ে এই ওষুধ।
চিনের মার্কেট রিসার্চ গ্রুপ বিশেষজ্ঞ শন রেইন জানিয়েছেন, ভারত ও চিন যদি ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তবে গোটা বিশ্বে ওষুধ জোগানের উপর বড়সড় প্রভাব পড়বে। অক্সফোর্ডের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ফোরম্যান জানিয়েছেন, এর প্রভাব ইতিমধ্যে বাজারে পড়তে শুরু করেছে। চড়চড় করে বাড়ছে ওষুধের দাম।
আরও পড়ুন: করোনার জের, শান্তিনিকেতনে বাতিল বসন্ত উৎসব
যদি এমন পরিস্থিতি আরও কয়েক মাস চলে তবে ওষুধ সংকটে ভুগবে গোটা বিশ্ব। শুধু কি তাই? করোনা ভাইরাস সমূলে বিনষ্ট না হওয়া পর্যন্ত চিনও রাসায়নিক উপাদান পাঠাতে পারবে না। ফলে ভারতেও তৈরি হতে পরে ওষুধের সংকট।