নয়াদিল্লি: নববর্ষের সকালে বাংলায় টুইট করে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার পাশপাশি মানুষকে কিছু কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সব দায়িত্ব ও পরামর্শকে প্রধানমন্ত্রী দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। অগ্নিপরীক্ষা ও সপ্তপদী।
আরও পড়ুন: সাত সকালে বাংলায় টুইট প্রধানমন্ত্রীর, জানালেন নববর্ষের শুভেচ্ছা
অগ্নিপরীক্ষা কী?
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে জায়গা হটস্পটে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কঠিন পদক্ষেপ করা হবে। কারণ হটস্পট বাড়লে সংকট আরও প্রকট হতে পারে।” তাঁর কথায়, “২০ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্নিপরীক্ষা। সরকার মূল্যায়ন করে দেখবে কোনও জায়গায় হটস্পট তৈরি হল কিনা বা নতুন করে সংক্রমণ ছাড়াল কিনা। যদি তা না হয়, তাহলে অল্প কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।” অর্থাৎ নিজের এলাকাকে হটস্পট না হতে দেওয়ার দায়িত্ব মানুষের কাঁধেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে এও বলেছেন, “নতুন করে ওই এলাকায় করোনার পা পড়লেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণের শুরুতেই বলেন, “বহু মানুষের খাওয়াদাওয়া, যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। কত লোক পরিবারের থেকে দূরে রয়েছেন। কিন্তু তাও দেশের মানুষ অনুশাসিত সৈনিকের মতো করোনা মোকাবিলায় লড়ছেন।” পর্যবেক্ষকদের মতে প্রধানমন্ত্রী আসলে অগ্নিপরীক্ষার কথা বলে মানুষের মধ্যে চ্যালেঞ্জের মনোভাবকেই জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন।
বক্তৃতার একেবারে শেষে সাতটি পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেটিকে সপ্তপদী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৩ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, ছাড়- কড়াকড়ি নিয়ে নির্দেশিকা আগামীকাল
কী এই সপ্তপদী?
1.নিজের বাড়ির বয়স্ক মানুষদের খেয়াল রাখুন। যাঁরা আগে থেকে অসুস্থ তাঁদের উপর নজর রাখতে হবে।
2.লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন করুন।
3.মাস্ক ব্যবহার করুন।
4.নিজের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের দেওয়া পরামর্শ অবশ্যই মানুন।
5.আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। গরীব পরিবারদের সাহায্য করুন।
6.আপনি ব্যবসায়ী হলে কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করবেন না।
7.স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের করোনা যোদ্ধাদের সম্মান করুন।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হবে কেবল দরিদ্রদেরই, রায় সুপ্রিম কোর্টের