অনন্যা! ভিনরাজ্যে আটকে ছেলে, ১৪০০ কিমি স্কুটি চালিয়ে ঘরে ফেরালেন মা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হায়দ্রাবাদ: করোনা সংক্রমণ থেকে ছেলেকে উদ্ধার করতে স্কুটিতে ১,৪০০ কিমি পাড়ি দিলেন এক মা। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিন-রাত দু’ চাকা ছোটালেন সাহসিনী।

আরও পড়ুন: রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১২, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ৫ জনের, জানালেন মুখ্যসচিব

দুই সপ্তাহ আগে অন্ধ্র প্রদেশের নেলোর জেলায় রেহমতাবাদ শহরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তেলাঙ্গনার বোধান শহরের বাসিন্দা মহম্মদ নিজামউদ্দিন। ২৩ মার্চ ফেরার রেলটিকিট কাটা থাকলেও দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়িতেই আটকে পড়েন।

এ দিকে নেলোরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার তীব্রতর হলে উদ্বেগে অস্থির হন নিজামউদ্দিনের মা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম। ফোনে ছেলের সঙ্গে কথোপকথনে জানতে পারেন, চেষ্টা করেও তেলঙ্গানা ফিরতে পারছেন না নিজামউদ্দিন। মায়ের মন ছটফট করতে থাকে। স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে চলতি সপ্তাহের সোমবার সকালে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন।  পরের দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল দুপুরে গিয়ে পৌঁছলেন ছেলের কাছে। এর পর আবার সেখান থেকে রওনা দিয়ে বুধবার অর্থাৎ ৮ এপ্রিল বিকেলে নিজের বাড়ি পৌঁছলেন রাজিয়া বেগম।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ৬৭৬১, মৃত্যু ২০০ ছাড়াল

বছর ৪৮-এর রাজিয়া বেগমের কথায়, “এটা আমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এমতাবস্থায় ভিন রাজ্যে সন্তানকে তো ছেড়ে দিতে পারি না। তাই স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতি নিয়ে স্কুটি নিয়েই বেরিয়ে যাই। পথে খাবারের জন্য বাড়ি থেকে কয়েকটা রুটি বানিয়ে নিই। তবে রাতের ফাঁকা রাস্তা দেখে সত্যিই খুব ভয় করেছিল।”

বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে নিজামাবাদের বোধান শহরের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া। ১৫ বছর আগেই তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়েই তাঁর সংসার। বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। আর ছোট ছেলে ডাক্তারি পড়তে চায়। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করে এমবিবিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। বাড়ি ফিরে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রাজিয়ার খবর। সবার মুখে একই কথা, মায়েরা এমনই হয়! রাজিয়া জানান, “প্রথমে ভেবেছিলেন মোটরবাইক নিয়ে বড় ছেলেকে পাঠাবেন নিজামুদ্দিনকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু তাকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হতে পারে, তাই সাহস পাইনি। তাই নিজেই দায়িত্ব নিই।” করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের আবহে বাজিয়া বেগমের এই প্রয়াস প্রশংসা কুড়োয় সকলের কাছ থেকে।

আরও পড়ুন: রবিবার ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest