ওয়েব ডেস্ক: গতকালই জানা গিয়েছিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর। ভর্তি রয়েছেন লখনউয়ের হাসপাতালে। শনিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নগর থানার পুলিশ জানিয়ে দিল, রোগ লুকোনোয় একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে কণিকার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:‘জনতা কার্ফু’-তে চলবে না লোকাল, দূরপাল্লা ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন, জারি বিজ্ঞপ্তি
রিপোর্টে প্রকাশ, গত ৯ মার্চ লন্ডল থেকে মুম্বইতে ফেরেন কণিকা কাপুর। ১১ মার্চ মুম্বই থেকে লখনউতে এসে হাজির হন। লখনউতে হাজির হওয়ার পর ১৩, ১৪ এবং ১৫ মার্চ পার্টি করেন। ১৩ এবং ১৪ মার্চে প্রাইভেট পার্টিতে হাজির হন কণিকা। বন্ধুদের নিয়েই ওই পার্টি করেন গায়িকা। এরপর ১৫ মার্চ রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, দুষ্মন্তসিং, উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয় প্রতাপ সিং, নিহারিকা রাজে-সহ একাধিক হাই প্রোফাইল অতিথি সেখানে হাজির হন। ১৫ মার্চের পার্টির পর দুষ্মন্ত সিং সংসদের কাজে হাজির হন দিল্লিতে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা যায় তাঁকে। অর্থাত কণিকা কাপুরের সঙ্গে যাঁরা ১৫ মার্চের পার্টিতে হাজির হন, তাঁদের বেশিরভাগই প্রশাসনের পদস্থ কর্তাব্যক্তি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। লন্ডন থেকে ফেরার পর পরপর ৩ দিন পার্টি করে, কণিকা কীভাবে অন্যদেরকে বিপদের মুখে ফেলে দিলেন,তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। ১৮ মার্চ থেকে করোনার উপসর্গ চোখে পড়ে কণিকার। এরপরই তিনি পরীক্ষা করান এবং রিপোর্ট পজিটিভ বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, পরপর ৩ দিনের পার্টি মিলিয়ে কণিকা প্রায় ৩০০-৪০০ মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন বলে খবর।অভিযোগ, লন্ডন থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে যখন নামেন, সেই সময় থার্মাল স্ক্রিনিং করাননি। গোপন করেছেন ঘোরার সব তথ্যও (ট্রাভেল হিস্ট্রি)। যদিও কণিকা কাপুর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিয়োগ অস্বীকার করেছেন। তিনি যখন লন্ডন থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন, সেই সময় তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। ফলে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কিছু ধরা পড়েনি বলে দাবি বলিউডের এই জনপ্রিয় গায়িকার।
আরও পড়ুন: তোমরাও করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ নও, ইয়ং জেনারেশানকে সতর্ক করলেন হু-প্রধান
শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৬৯, ২৭০ ও ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নগর থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে কণিকা কপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন লখনউয়ের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।কণিকা কপুর নিজে করোনায় আক্রান্ত এটা না জানলেও কিছু উপসর্গ দেখে তাঁর সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত ছিল বলেই দাবি নেটিজেনদের একাংশের। গায়িকার এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ক্ষুব্ধ তাঁর ভক্তরাও। যেখানে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকরা দিন-রাত এক করছেন, সেখানে এত নির্দ্বিধায় গায়িকার কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে মোটেই বীরত্বের কাজ বলে মনে করছেন না ওয়াকিবহাল মহল।