ওয়াশিংটন: শেষ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের কাছে মাথা নোয়াতেই হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাঁর দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা যখন দেড় লক্ষের দোরগো়ড়ায় পৌঁছে গিয়েছে, তখন হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে দাঁড়িয়ে রবিবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আমেরিকায় সোশাল ডিস্টেন্সিংয়ের শর্ত আরও এক মাস বাড়ানো হচ্ছে। তা শেষ হবে এপ্রিলের ৩০ তারিখ। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন, তা এদিন তিনি নিজেই পিছিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরের অভিজাত আবাসনের ১৬ তলায় আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন
কদিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন ইস্টারের আগে অর্থাৎ ১২ এপ্রিলের আগে আমেরিকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তিনি ফেরাবেন। কিন্তু এ দিন তিনি বলেন, ১ জুন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে সেই সঙ্গে আরও একটি মারাত্মক মন্তব্যও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু হয়েছে ২৪০০ জনের। ট্রাম্প এদিন বলেন, আগামী দু’সপ্তাহে মৃত্যুর সবথেকে বেশি বাড়তে পারে। তাঁর কথায়, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ১ লক্ষের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলে বুঝতে হবে তাঁর প্রশাসন ভাল কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: লক ডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর খবর গুজব, এখনও এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি, ঘোষণা কেন্দ্রের শীর্ষ আমলার
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসির বিবৃতি। রবিবারই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই মহামারিতে আমেরিকায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে ও লক্ষ লক্ষ সংক্রমিত হতে পারেন। এই ভয়ংকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি বলেছিলেন, জমায়েত এড়াতে হবে ও বয়স্কদের ঘরবন্দি থাকার কথা বলেছিলেন।
তবে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এখনও এগিয়ে রয়েছে ইটালি। সে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যাও প্রায় এক লক্ষ। এ ছাড়া, স্পেন, ফ্রান্স, ইরানেও চলছে মৃত্যুমিছিল। তবে অনেকটাই আয়ত্তে এসেছে চিনের পরিস্থিতি। হুবেই প্রদেশে লাগাতার ছ’দিন ধরে নতুন কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু বাইরে থেকে আসা আক্রান্তরা নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে চিনে। সেই ধাক্কা সামলাতে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং।
আরও পড়ুন: করোনার থাবা: রাজ্যে দ্বিতীয় মৃত্যু,কালিম্পংয়ে মৃত ৪৪ বছরের মহিলা