গরমে কমতে পারে করোনার সংক্রমণ, মার্কিন গবেষণায় উঠে এল তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: তাপমাত্রা বাড়লে ভাইরাসটির সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ না হলেও তা অনেকটাই কমে যেতে পারে বলে মনে করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের গবেষণা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে।

আরও পড়ুন: করোনার জের! শুরুর চার মাস আগেই পিছিয়ে যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিক

সেই গবেষনায় দেখা যাচ্ছে, গড় তাপমাত্রা যেখানে কম (৩ ডিগ্রি থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সেখানে সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। পারদ যেখানে বেশি সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। দক্ষিণ গোলার্ধ এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। উল্লেখ্য, দক্ষিণ গোলার্ধে এখনও গ্রীষ্মকাল চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে শীত পড়বে। বিজ্ঞানীদের দাবি, গড় পারদ যেখানে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী কাসিম বুখারি বলেন, ‘‌আবহাওয়া যেখানে ঠান্ডা, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ইউরোপের দেশগুলো দেখলেই বোঝা যাবে।’‌ তাঁদের দাবি, উষ্ণ আবহাওয়ার অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা আর টেক্সাসে সংক্রমণ ছড়ানোর গতি ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, কলোরাডোর মতো শীতল অঞ্চলের থেকে অনেকটাই কম।

শুধু ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও অন্তত দু’টো গবেষণা একই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, গরমের আবহাওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।

আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে, কোয়ারেন্টাইনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল

Gmail 6

তবে সতর্ক করে দিয়েছেন ডঃ বুখারি। তাঁর দাবি, ভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে দেওয়ার সব থেকে বড় অস্ত্র হল লকডাউন। তিনি বলেন, ‘‌গরম আবহাওয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমতে পারে, কিন্তু তা বলে সে সংক্রমণ ছড়াবে না, সেটা কিন্তু আমরা বলছি না।’‌ বর্তমানে ভাইরাস নিজের থেকে তিনদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তিনি জানান, গরমে এই ভাইরাস হয়তো অনেক দিন বাঁচবে না। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা বাঁচবে। ফলে সংক্রমণ ছড়াবেই। এমনিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) জানিয়ে দিয়েছে, আবহাওয়ার ওপরে ভরসা করে বিশেষ উপকার নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই লকডাউন এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্বই এই ভাইরাসের উপদ্রব কমাতে পারে বলেই মনে করছে হু

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest