World Happiness Day 2020: করোনা আতঙ্কে ম্লান গোটা বিশ্বের হাসি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: তুমি খুশি থাকো। আমার পানে চেয়ে চেয়ে খুশি থাকো। ব্যাপারটা কিন্তু সত্যি চাপের বস। শুধু শুধু একজনের মুখের দিকে তাকিয়ে খুশি থাকা যায়না. ওটা কেবল জুভেনাইল প্রেমে সম্ভব। যদিও একথা ঠিক যে খুশি কিংবা দুঃখ আসলে ইনবিল্ট সফ্টওয়ার। অকারণেও মন আনন্দে ময়ূরের মত কখনো নেচে ওঠে অনেকসময়ই।আবার অনেক সময় মন খারাপের মেঘ বিশাল জোরে বৃষ্টি নামায় ।আসলে প্রকৃতি বলুন কিংবা ওপরওয়ালা দুটো বেসিক অনুভূতি দিয়েই পাঠান, সেটাই আমরা বয়ে বেড়াই জীবনভর – খুশি আর দুঃখ।

এত গেল ভাবের কথা. খুশি থাকা কিংবা সুখী থাকার সব দায়ও আমার নয়।এই যে করোনা হানা, তাতে কি খুশি থাকা যায়? অথচ তার মধ্যেই এসে গেল বিশ্ব খুশি দিবস। আর আজই হল আনন্দে থাকার সেই দিন। অথচ করোনা আতঙ্ক এক লহমায় মুছে দিয়েছে গোটা দুনিয়ার হাসি।

happiness news

বিশ্বের সবথেকে খুশির দেশ হল ফিনল্যাণ্ড।করোনা সেখানকার বাতাসেও আতঙ্ক মিশিয়েছে। তবে সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ প্রশাসনের কাজে সন্তুষ্ট। তাদের ধারণা সরকার যে করবে তাতে ভালোই হবে। আহারে ! আমরাও যদি এমনতর ভরসা রাখতে পারতাম।তাহলে বিশ্বজুড়ে দুঃখী দেশগুলোর মধ্যে আমাদের জায়গা হতো না। যে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কেবল কেন্দীয় সিদ্ধান্তে ভিটে-মাটি হারানোর আতঙ্ককে আত্মঘাতী হচ্ছে। যেখানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে একবার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে একবার ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা এখানে রয়েছেন তারাও ভয়ে অস্থির, দেশের মানুষকে বিদেশী কখনওবা সন্ত্রাসবাদী বানানোর খেলা চলছে- তাতে কি খুশি থাকা যায়? গরিব মানুষ সাংঘাতিক আতঙ্কে।রাজধানীর বুকে দাঙ্গার প্রচারে গণহত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিদেশী মিডিয়ারও। তাই করোনা এখানে আলাদা করে তেমন ভয় দেখতে পারছেনা।

HappinessImage 1

আসলে খুশি কেবল নিজের মনের বিষয় নয়। এখানে পারিপার্শিকতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার প্রেসিডেন্ট করোনা আতঙ্কে যেভাবে সেদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে ভরসা হয় বৈকি। তবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাষণে ভরসার থেকে আতঙ্কই বেশি। তাঁর ভাষণের পর আতঙ্ক আরও বাড়ল জনমানসে। দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের কথা বলে তিনি লকডাউন হতে পারে এই সম্ভাবনার কথা আলগোছে জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে দোকানে- বাজারে জমেছে ভিড়। বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয়ও জিনিসের দাম।

Gmail 5

 

 

 

 

আসলে যেখানে রাষ্ট্র তার দেশবাসীকে এখনও অসহায় প্রজা মনে করে সেখানে খুশির দিন শুরু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।খুশি থাকে ফিনল্যাণ্ড,ডেনমার্ক,নরওয়ে। আমরা না হয় ওদের পানে চেয়ে চেয়ে খুশি থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাব।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest