ওয়েব ডেস্ক: শুধু বয়স্করা নয়, করোনাভাইরাস যথেষ্ট ঝুঁকির কারণ হতে পারে অল্পবয়সীদের জন্যও। এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস অ্যাঢানোম। প্রধানত করোনাভাইরাস শিশু ও বয়স্কদের জন্যই বেশি বিপজ্জ্বনক বলে জানানো হলেও অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই অসুখের থেকে তরুণ প্রজন্মও যে অপরাজেয় নয় তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল WHO।
আরও পড়ুন: ‘জনতা কার্ফু’-তে চলবে না লোকাল, দূরপাল্লা ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন, জারি বিজ্ঞপ্তি
চিনের উহান থেকে গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরু হয়। গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের মধ্যে সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ সেখানে কোভিড-১৯ কে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। হু প্রধান এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “উহানকে দেখে আমরা ভরসা পাচ্ছি। তার মানে পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।” এর পরে অবশ্য তিনি বলেন, “আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। পরিস্থিতি যে কোনও সময় ফের খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। কিন্তু যে দেশ বা শহরগুলি মহামারীকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে, তাদের দেখে বিশ্বের বাকি দেশগুলির আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে।”
চিনে এখন প্রতিদিন খুব অল্পসংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের প্রায় সকলেই এসেছেন বিদেশ থেকে। করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্র এখন এশিয়া থেকে সরে গিয়েছে ইউরোপে। হু প্রধান বলেন, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, যে সব দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা তেমন শক্তিশালী নয়, সেখানে ওই মহামারী শুরু হলে কী হবে? তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতের অতিমহামারীগুলোর সঙ্গে কোভিড-১৯ এর পার্থক্য আছে। এখন আমরা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃতীয় করোনা আক্রান্তের খোঁজ, স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার তরুণী ভরতি বেলেঘাটা আইডি-তে
এর পরেই তরুণদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে হু প্রধান বলেন, “আজ আমি তোমাদের একটা কথা বলতে চাই। তোমরা অপরাজেয় নও। এই ভাইরাস তোমাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করতে পারে। এমনকি মেরেও ফেলতে পারে।” তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়াচ্ছে। ভাইরাস ছড়াচ্ছে না। এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
কারোর মৃত্যুর কারণ না হয়ে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রজন্ম যে বিশেষজ্ঞদের ডাকে সাড়া দিয়ে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। সামাজিক দূরত্বের বদলে এই সময় শারীরিক দূরত্ব পালন করার ওপরে জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন বর্তমানে নানাভাবে আমরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি। কিন্তু এই সময় শারীরিক ভাবে পরস্পরের থেকে দূরে থাকাটা জরুরি।