অন্ধকারের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর মন্তব্য মোদীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানো মহসিনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তিনি। আর তাই তাঁকে বরখাস্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার তাঁর উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে কমিশন। এই নির্দেশ মেনে নিতে পারছেন না ওড়িশার বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি শুধুমাত্র নিজের কাজ করছিলাম।’ জানা গিয়েছে, আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন এই আইএএস অফিসার। সংবাদমাধ্যমকে মহসিন জানিয়েছেন, অন্ধকারে নিজের সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

গত সপ্তাহেই ওড়িশার সম্বলপুরে সভা করতে যাওয়া নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টারে আকস্মিকভাবেই তল্লাশি চালান মহম্মদ মহসিন। তাঁর এই তল্লাশির জেরে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টারেই বসে থাকতে হয় মোদিকে। যা নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি জানিয়ে দেয়, মহসিন নিয়ম মেনে তল্লাশি চালাননি। তল্লাশির আগে তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের জেরে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তখন থেকেই প্রবল মানসিক চাপে ভুগতে হয়েছে। কিছুটা স্বস্তি মেলে ক্যাটের নির্দেশে সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পর। ক্যাট জানিয়ে দিয়েছে, তাঁকে সাসপেন্ড করা বেআইনি। এরপর অবশ্য, কমিশন বাধ্য হয়েছে সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে। কিন্তু, তাতে কি! এখনও শাস্তির ভ্রুকুটি কাটেনি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তি পেতে হতে পারে মহসিনকে।

মহম্মদ মহসিন বলেন, “আমি শুধুমাত্র কর্তব্য পালন করেছি। চাপে পড়েই আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত কারণ দেখানো হয়নি। অন্ধকারে নিজের সঙ্গেই লড়ছি আমি।” ১৯৯৬ সালের কর্ণাটক ব্যাচের এই আইএএস অফিসারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ( ক্যাট )-এর তরফে জানানো হয়েছে, “এটা বলা যায় না যে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের আধিকারিকরা সবকিছু করতে পারেন। কিন্তু কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের গাড়িও একাধিকবার তল্লাশি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তখন এ ক্ষেত্রেও নেওয়া যায় না।” ক্যাটের এই বক্তব্যের পরেই নির্বাচন কমিশন মহসিনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজের রাজ্য কর্ণাটকে ফিরে যেতে। রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তদন্ত করতে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করছেন মহম্মদ মহসিন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest