অভিনন্দনকে নিয়ে ব্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়া, ক্ষুব্ধ মোদী !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : একান্ত সাক্ষাৎকার বড় একটা দেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিলেও বাছাই করা প্রশ্ন নেন। বাছাই করা সংবাদ মাধ্যমে। গত লোকসভা নির্বাচনে যে সম্পাদক–‌সঞ্চালককে ঘণ্টা দেড়েকের সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তিনি আজ অন্য চ্যানেলে হলেও অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর ভরসার সাংবাদিক। তাঁর কাছেই শুক্রবার ‘‌মন কি বাত’‌ বললেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের খোরাকও জুগিয়ে দিলেন যারপরনাই।

সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার ঘটনার সময় আপনি কোথায় ছিলেন? কখন শুনলেন এই ঘটনার কথা? প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘‘আমার সব কর্মসূচিই পূর্ব নির্ধারিত থাকে। সে দিন আমি উত্তরাখণ্ডে ছিলাম। পরিবেশ আর পর্যটনে আমি গুরুত্ব দিই। গোটা দিনের কর্মসূচি ছিল। যখন পুলওয়ামার ঘটনা হল, তখন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। আমার একটি বড় জনসভাও ছিল, বেলা তিনটের সময়ে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনো মুশকিল ছিল। এরই মধ্যে খবর এল। সঠিক সময়টি…,’’ বলে থেমে গেলেন মোদী। বললেন, ‘‘ঠিক করলাম, মোবাইল ফোনেই সভায় বক্তৃতা করব। কিন্তু এত বড় সভায় এই ঘটনা আলোচনা করা উচিত নয়।’’ মোদীর কথায়, ‘‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। কেউ যদি এ নিয়ে রাজনীতি করেন, তা হলে তাঁরা অবোধ।’’ দিল্লিতে কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, ‘‘ঠিক এই কথাটিই আমরা বলছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পুলওয়ামার ঘটনার পরেও শুটিং করছিলেন।’’

এরপরই দেশপ্রেম নিয়ে তাঁর বাগাড়ম্বর, বালাকোটে বায়ুসেনার হানায় কীভাবে অতন্দ্র থাকার কথা বলতে গিয়ে  মোদী বলে ফেললেন, ‘‌অভিনন্দনের ঘটনা যখন ঘটল, সব দলের এককাট্টা হয়ে বলার কথা ছিল, বায়ুসেনা এফ–‌১৬ বিমান গুলি করে নামিয়েছে। আমরা ওদের জন্য গর্বিত। তা না করে অভিনন্দন কবে ফিরবেন, তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল!‌’‌ এহেন মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া:‌ উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান না ফিরলেই কি খুশি হতেন মোদি?‌ তাতে নির্বাচনের মুখে আরও গরম রাজনীতি করা যেত বলে!‌

‘‌রিপাবলিক ভারত’‌‌কে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে  বিরোধী জোটের সামনে বিজেপি–‌র সম্ভাবনা কতটা তা নিয়েও মুখ খুলেছেন মোদী। পরিবারতন্ত্র নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‌ওতে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। তবে তা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। একটা দল যদি ব্যক্তিগত সংস্থার মতো চলে, তাতে যদি এই নিয়ম জারি হয় যে পরিবারের সদস্য না হলে কেউ দলের সভাপতি হতে পারবেন না, ‌তা হলে তা অত্যন্ত অন্যায়।’‌ এরপরই সংবাদমাধ্যমের প্রতি উপদেশ:‌ ‘‌এইসব পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়ে আপনাদের সোচ্চার হওয়া উচিত।’‌ পাকিস্তানের উদ্দেশে মোদীর বার্তা, ‘‌ভারতের একটাই দাবি। সন্ত্রাসবাদ ছাড়ুন। তারপর যদি ভারতের মুখও না দেখতে চান, দেখবেন না।’‌ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জঙ্গিদমনে পাকিস্তানের মিথ্যা আশ্বাসের জন্যই বায়ুসেনার হামলা। তাঁর মন্তব্য, ‘‌আর ওদের ফাঁদে পড়ছি না। তার প্রমাণও দিয়েছি। আমার দেশভক্তি নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। জনতাই বিরোধীদের মুখে তালা দিয়ে দেবে।’‌

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest