Site icon The News Nest

#Loksabha 2019: অমেঠীকে ঠকিয়ে ওয়ানাড়ে গিয়েছে ভোট চাইতে গিয়েছেন রাহুল,কংগ্রেস গড়ে প্রচারে গিয়ে আক্রমণ স্মৃতির

smriti

আমেঠি: কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত আমেঠিতে গেরুয়া দলের এবারও প্রার্থী  স্মৃতি ইরানি৷ বিপক্ষে রাহুল গান্ধী৷ লড়াই কঠিন ৷ তাই সময় থাকতে থাকতেই প্রচারের ময়দানে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার কেরলের ওয়ানাড় থেকে মনোনয়ন পেশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজের বরাবরের কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের অমেঠী বাদে তিনি এবার কেরলের দ্বিতীয় কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। অন্যদিকে, এদিনই অমেঠীতে এসে স্মৃতি আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, দ্বিতীয় একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে রাহুল অপমান করেছেন অমেঠীর মানুষকে।

তাঁর কথায়, অমেঠীর দৌলতেই রাহুল ১৫ বছর ক্ষমতা ভোগ করছেন। এখন তিনি অন্য এক জায়গা থেকে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছেন। অমেঠী এই অপমান কখনও ভুলবে না। ওয়ানাড়ের ভোটারদের উদ্দেশে স্মৃতি বলেন, আমি তাঁদের সাবধান করতে চাই। রাহুল গান্ধী এমপি হিসাবে কতদূর যোগ্য, তা যদি দেখতে চান, তাহলে অমেঠীতে আসুন। যে ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে অমেঠীর মানুষকে ঠকিয়েছে, সে এবার গিয়েছে আপনাদের ভোট চাইতে।

অমেঠী বরাবরই নেহরু-গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। জায়গাটি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। এই কেন্দ্রের বেশিরভাগ জুড়ে রয়েছে গ্রাম। গত পাঁচ বছরে স্মৃতি নিয়মিত অমেঠীতে গিয়েছেন। নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করেছেন। তার অন্যতম হল অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির কারখানা। গত মাসে সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।২০০৪ সালে প্রথমবার অমেঠী থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল। এবার তিনি যখন ওয়ানাড়ে মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছেন, তখন দু’দিনের ভোট প্রচারে অমেঠীতে গিয়েছেন স্মৃতি। ২০১৪ সালে তিনি ওই কেন্দ্রে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হেরে গেলেও রাহুলের জয়ের ব্যবধান তিনি অনেক কমিয়ে এনেছিলেন।তাই বিপক্ষের হেভিওয়েট বধে  অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়ে ওঠা স্মৃতির উপরই ভরসা রেখেছেন মোদী-শাহ জুটি৷

আপাতত দু’দিনের জন্য অমেঠী সফরে গিয়েছেন স্মৃতি৷ বিজেপির রাজ্য শাখার আহ্বায়ক রাজেশ আগ্রহরি জানিয়েছেন, এই সফরকালে কিষাণ ব়্যালিতে অংশ নেবেন তিনি৷ উল্লেখ্য, মোদীর আমলেই দেশে কৃষকদের দুরাবস্থা চরমে৷ বিগত পাঁচ বছরেই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ অভিযোগ বিরোধীদের৷ গত ডিসেম্বরে হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের পদ্ম শিবিরের পরাজয়ের অন্যতম কারণও ছিল কৃষকদের ভোট না পাওয়া৷তাই গেরুয়া শিবিরের ফোকাসে এখন কৃষকদের উন্নয়ন৷ প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনার সূচনা করেছেন মোদী সরকার৷ ভোটের আগে কৃষকদের মন পেতেই এই প্রকল্প বলে দাবি বিরোধীদের৷ সদ্য প্রকাশিত রংগ্রেস ইস্তেহারেও কৃষকদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে৷ কৃষকদের মন জয়ে তাই আমেঠিতে স্মৃতির প্রচারের মধ্যমণি কৃষকরাই৷

 

Exit mobile version