#নয়াদিল্লি: সাত দফার লোকসভা ভোটে পাঁচটি দফা পার হলেও বিধিভঙ্গের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই। রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেও সাধারণ মানুষের ততটা আগ্রহ কোথায়! এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের অমেঠির এক ব্যক্তির অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি তাক লাগিয়ে দিল গোটা দেশকে।মনোজ কাশ্যপ নামের ওই তরুণ লিখেছেন, “অমেঠীর মানুষের আবেগে আঘাত করেছেন নরেন্দ্র মোদী।”
অমেঠীর শাহগড়ের ওই যুবক, রক্ত দিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের লিখেছেন, “রাজীব গান্ধীর সময়েই আঠারো বছরে ভোটাধিকার হয়েছিল। দেশে পঞ্চায়েতি রাজ কায়েম হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বেই। নরেন্দ্র মোদী যে কথা বলেছেন তাতে, অমেঠীকে অপমান করা হয়েছে।” উত্তরপ্রদেশের এই জনপদ থেকেই ভোটে দাঁড়াতেন ইন্দিরা-পুত্র।ওই চিঠিতে কাশ্যপ আরও লিখেছেন, “কোনও রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়। অমেঠীর আবেগে জুড়ে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই আবেগকেই আঘাত করেছেন।”
এতদিন নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে নামদারদের দল বলে আক্রমণ করতেন মোদী। বলতেন, একটা পরিবার ৬০ বছর ধরে ভারতের গরিব মানুষের টাকা লুঠ করে নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস সভাপতির প্রধান অস্ত্র রাফাল।পাল্টা হিসেবে বফর্স প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মোদী। সরাসরি আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধীর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। বললেন, “আপনার বাবাকে তাঁর পারিষদরা মিস্টার ক্লিন বলে ডাকত। কিন্তু তাঁর জীবন শেষ হয়েছিল ভ্রষ্টাচারী নম্বর ১ হিসেবে।”
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপ গড়ের জনসভায় গিয়ে এই মন্তব্য করেন মোদী।প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিজেপি-বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তোলে, নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে টেনে মোদী নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া দেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। টুইট করে মোদীর ওই বক্তব্যের নিন্দা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি গেল দিল্লির নির্বাচন সদনে।