নয়াদিল্লি: আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্যোগে স্বাস্থ্যের প্রতি সকলের দৃষ্টি ফেরাতে এই দিনটিকে উদযাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালে জেনেভায় প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হু-এর উদ্যোগে ১৯৫০ সাল থেকে থেকে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই দিন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্বাস্থ্য অধিবেশন, প্রচারমূলক অনুষ্ঠান এবং শিবির আয়োজিত হয়। ২০১৯ সালে এই দিনের থিম হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে ইউনিভার্সাল হেল্থ কভারেজকে।
হু-এর মতে এই একটা দিন মানুষকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে স্বাস্থ্যকে কোনও ভাবে অবহেলা করা ঠিক নয়। স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। হু-এর উদ্দেশ্য আরও স্বাস্থ্যবান এবং সুস্থ বিশ্ব গড়ে তোলা। প্রত্যেকটি মানুষের সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিয়ে সমান যত্নবান তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল স্বাস্থ্য পরিসেবা সব মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছয় না বিভিন্ন কারণে। কখনও প্রান্তিক অবস্থান, কখনও বা আর্থিক সংকটের কারণে সকলে সময়মতো সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পান না।
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কিছু টিপস:
- শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিকভাবে কর্মক্ষম এবং সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন।
- নানা ধরনের খাবার খান, তবে সেগুলি যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে দিকে নজর দিন। অতিরিক্ত ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করে চলুন। যাতে অযথা ওজন বেড়ে না যায়।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কখনো কোনও খাবার বাদ দিয়ে যাবেন না। সময় মতো প্রাতঃরাশ-মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপবাসে শরীরের ক্ষতি হয়।
- প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার বর্জন করুন। এর মধ্যে উপকারের থেকে বেশি ক্ষতিকারক উপাদান থাকে।
- মরসুমী সবজি এবং ফল দিনে এক থেকে দুটো করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- নুন এবং চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখুন। এর থেকে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখুন।
- দুশ্চিন্তা এবং হতাশাকে দূরে রাখুন। এর জন্য প্রয়োজনে যোগাভ্যাস মেডিটেশন নিয়মিত করতে হবে। যে কোনও স্ট্রেসফুল পরিস্থিতিকে এড়িয়ে চলুন।