আজ মহানায়িকার জন্মদিন, মায়ের আত্মার শান্তির জন্য জোড়া ফুলকে ভোট দেওয়ার আর্জি মুনমুন সেনের!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আসানসোল: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী মুনমুনের প্রচারে দেখা গিয়েছিল মা সুচিত্রা সেনের ছবি। এ বারও আসানসোলের ইতস্তত তেমনই ছবি দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে। তবে শুক্রবার আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে তিনি সরাসরি উল্লেখ করলেন মায়ের আত্মার শান্তিকামনার কথা।

গতবার জেতা সাংসদকে এ বার হারা আসনে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র দখলে থাকা আসানসোল কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে মমতার সৈনিক মুনমুন। রাত দিন এক করে প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন রিয়া-রাইমার মা। এর আগেও বারবার মনে করিয়েছেন তিনি সুচিত্রা সেনের মেয়ে। এ বার সরাসরি মায়ের ‘আত্মার শান্তির জন্য’ ভোট চাইলেন সুচিত্রা-কন্যা।সূত্রের খবর, জামুরিয়ার কর্মিসভা থেকে মায়ের আত্মার কথা উল্লেখ করেন মেয়ে মুনমুন। বলেন, “আজকে আমার মায়ের জন্মদিন। ঘরে না গিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি। তোমরা বলো, তৃণমূলকে একটা ভোট দেবে। আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য জোড়া ফুলকে ভোট দাও। তাঁর মেয়ে এসেছে তোমাদের কাছে। তাঁর নাম রাখতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাখতে।” এরপর মুনমুন বলেন, “আমার টাকা পয়সার দরকার নেই। যা টাকা পাব, সব দিয়ে দেব তোমাদের কাজের জন্য।” জেলা তৃণমূল সভাপতি ভি শিবদাসন-সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই একথা বলেন তিনি। শিবদাসন অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, “গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন ও মুনমুন সেনের ছবি ব্যানারে ব্যবহার করতে হবে। অন্য কারও ছবি টাঙানো যাবে না”। এ ব্যাপারে তিনি সুচিত্রা সেনকে নিজেদের আদর্শ হিসাবে মনে করেই ব্যানারে ছবি দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুনমুনকে ভোট দিলে প্রয়াত মহানায়িকাকেই সম্মান জানানো হবে বলে তিনি মনে করেন।Munmun

অনেকেরই প্রশ্ন, “আর কোনও ভাবে কিছু হচ্ছে না বলেই কি প্রয়াত সুচিত্রাকে টেনে আনলেন মুনমুন?” রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, আসানসোল আসন তৃণমূলের পক্ষে সত্যিকারেরই চাপের। একদিকে দলের ভিতরকার দ্বন্দ্ব, অন্য দিকে গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে বাবুলের কাজ। তা ছাড়া অনেকের এও বক্তব্য, চোদ্দর ভোটে যখন মুনমুনকে বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল, তখন সুচিত্রার মৃত্যু মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। পাঁচ বছর পর আর সেটা নেই। একই সঙ্গে বাঁকুড়ার মতো গ্রামীণ আসনে এটা যতটা ফ্যাক্টর ছিল, আসানসোলের মতো হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এবং শিল্পাঞ্চলে ততটা প্রভাব ফেলবে না। অনেকেরই প্রশ্ন, “আর কোনও ভাবে কিছু হচ্ছে না বলেই কি প্রয়াত সুচিত্রাকে টেনে আনলেন মুনমুন?” রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, আসানসোল আসন তৃণমূলের পক্ষে সত্যিকারেরই চাপের। একদিকে দলের ভিতরকার দ্বন্দ্ব, অন্য দিকে গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে বাবুলের কাজ। তা ছাড়া অনেকের এও বক্তব্য, চোদ্দর ভোটে যখন মুনমুনকে বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল, তখন সুচিত্রার মৃত্যু মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। পাঁচ বছর পর আর সেটা নেই। একই সঙ্গে বাঁকুড়ার মতো গ্রামীণ আসনে এটা যতটা ফ্যাক্টর ছিল, আসানসোলের মতো হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এবং শিল্পাঞ্চলে ততটা প্রভাব ফেলবে না।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest