ইসলামাদবাদ: পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণে জইশ দলের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি, সবাই জীবিত এবং সম্পূর্ণ সুস্থ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মুখপত্র আল-কালাম- এ এই দাবিই করল জইশ প্রধান এবং পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী মাসুদ আজহার।লেখাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছে মাসুদ।
জইশ-ই-মহম্মদের মুখপত্র হিসেবে আল-কালামকেই চেনে সারা দুনিয়া। সেখানেই ‘সাদি’ নামে লেখে খোদ জইশ প্রধান মাসুদ আজহার।জানা গিয়েছে, এই মুখপত্রের সাম্প্রতিক সংখ্যায় পুলওয়ামা কাণ্ড এবং তার পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লিখেছে এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি।মাসুদের দাবি, “কাশ্মীরে আগুন জ্বালানো শুরু করেছেন আহমেদ আদিল দারের মতো কাশ্মীরের মানুষরাই। এই আগুন সহজে নিভবে না। কাশ্মীরের এই লড়াই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই লড়াই ধীরে ধীরে কাশ্মীর থেকে ভারতের অভ্যন্তরে পৌঁছে যাবে। গোটা ভারতে আগুন জ্বলবে।”
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ জঙ্গি ঘঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। এই হামলার পরেই বিরোধীরা দাবি জানান, কত জঙ্গি নিহত হয়েছে তার সংখ্যা জানাতে হবে। যদিও বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, তাঁরা হামলা করেছেন। যে যে টার্গেট ছিল, সেগুলো ধ্বংস করেছেন। কিন্তু কত জন নিহত হয়েছেন, জানেন না। জানা যায়, মাসুদ আজহারের তিনজন আত্মীয় নিহত হয়েছে এই হামলায়। আরও শোনা যায়, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাকি হাসপাতালে ভর্তি মাসুদ। যদিও পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি এই বিমান হামলায়।বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলায় যে আদৌ কোনও ক্ষতি হয়নি এবং ভারত যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা ছড়াচ্ছে, এমনটাও দাবি করেছে মাসুদ।
এমনকী নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়েও বেশ কিছু কথা বলেছে জইশ প্রধান।ওই কলামে লেখা হয়েছে, “আমি সাধারণত নিজের শরীর নিয়ে কোথাও কিছু বলি না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে মিথ্যে রটানো হচ্ছে, তাতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি একদম ঠিক আছি। আমার কিডনি ও লিভার একদম ভালো আছে। আমি কোরানের উপদেশ অনুযায়ী খাবার খাই। আর তাই গত ১৭ বছর ধরে হাসপাতালের মুখ আমাকে দেখতে হয়নি। এমনকী ক’বছর আগে শেষবার ডাক্তার দেখিয়েছি, সেটাই মনে করতে পারছি না।”লেখাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছে মাসুদ। সে বলেছে,‘আমি নরেন্দ্র মোদীর মতো নই। আমি এক জন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। আমি নরেন্দ্র মোদীকে তিরন্দাজি অথবা শুটিং প্রতিযোগিতায় নামার আহ্বান জানাচ্ছি। তা হলেই বোঝা যাবে কে বেশি ফিট।’