Site icon The News Nest

ঋতুস্রাবের পাঠ প্রাথমিক পর্যায় থেকে বাধ্যতামূলক ইংল্যান্ডে

periods

লন্ডন ঃ একদিন আগেই  অস্কার মঞ্চে সেরা তথ্যচিত্রের শিরোপা  জিতে নিয়েছে ঋতুকালীন যন্ত্রণা, সামাজিক ছুঁতমার্গ নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘পিরিয়ড – এন্ড অফ সেনটেন্স’। মঙ্গলবার বিদেশ থেকে এল সব মহিলাদের মন ভাল করে দেওয়ার মত খবর। জানা গেল, ২০২০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ঋতুস্রাবের বিষয়টি শিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু মেয়েরা নয় সব শিক্ষার্থীই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে পড়ার ও জানার সুযোগ পাবে।

মেয়েদের মাসিকের বিষয়টিকে বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পেইন বা প্রচার কাজ চালিয়ে আসছিলেন এলিস স্মিথ। এই সিদ্ধান্তটিকে ভীষণ ইতিবাচক হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই মহিলা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে মিজ স্মিথের মাসিক সংক্রান্ত জটিলতা প্রথম ধরা পড়ে। আরও অনেক নারীর মতই তারও পিরিয়ড নিয়ে তৈরি হয় ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। আর খুব সহসা সেটি সেরে যাবারও কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।তাই নিজের অসুখ ধরা পড়ার পর থেকেই এই বিষয়ে তিনি সোচ্চার হয়ে উঠেন এবং বিষয়টিকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলেন।তার মতে, পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির ফলে খুব শিশু বয়স থেকেই মেয়েরা জেনে যাবে কোন ধরণের মাসিক স্বাভাবিক আর কোনটি স্বাভাবিক নয়।

২০১৭ সাল থেকেই ইংল্যান্ডের বিদ্যালয়গুলোতে যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে এই বিষয়ক পাঠ্যক্রমে ঠিক কী কী অন্তর্ভুক্ত হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বিভিন্ন মহলের মতামত নেওয়া হচ্ছিলো। এখন মাসিককে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিশুরা এই বিষয়ে জানার সুযোগ পাবে। এছাড়া প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমেই নারী ও পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে একটি ধারণাও পাবে শিশুরা। তবে নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও তাদের যৌনতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা জানবে সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে। যৌন-স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঠ্যক্রমে এলজিবিটি বা সমকামিতা ও উভকামিতা প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্কটল্যান্ডে ২০১৪ সাল থেকেই যৌন শিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশাবলী দেয়া হয়।

 

Exit mobile version