চোপড়া: শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল চোপড়ায়। চলল গুলি। এ দিন সাতসকালে মকদুমি এলাকায় এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয় দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের চোপড়ায়। তখন থেকেই বিজেপি-তৃণমূল দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। ওই দিনও তুমুল গন্ডগোল বাঁধে এলাকায়। ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে চোপড়া। প্রথমে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। পরে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা। একই ভাবে ভোটের পর দিনও সন্ত্রাস অব্যাহত এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গুলিবিদ্ধ ছাত্রের নাম মহম্মদ আবদুল। তারপরই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিশনের। কী ঘটেছে? সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় এসে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধ করে তৃণমূলও। এর পরই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে এলোপাথাড়ি গুলি, বোমাবাজি। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল মহম্মদ আবদুল। গোলাগুলির মাঝে পড়ে তার বাঁ পায়ে গুলি লাগে। আহত আবদুলকে দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আবদুলের পা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। দু’পক্ষের তরফেই চোপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।