#নয়াদিল্লি: রাফাল ইস্যুতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করে শনিবার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেন, ‘রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধীকে মিস্টার ক্লিন নামে ডাকার রেওয়াজ ছিল, কিন্তু তিনি জীবন শেষ করেছিলেন ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান হিসেবে’। কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল. কিন্তু প্রতিবারের মত এবারও ক্লিনচিট পেয়েছেন নমো। যদিও তাঁর নিন্দা করে এবার বিবৃতি প্রকাশ করলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৭ জন অধ্যাপক। ওই বিবৃতিতে রাজীবকে নিয়ে নমোর মন্তব্য অপমানজনক ও মিথ্যে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অসত্য’ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমাকে খাটো করেছে। বিবৃতিতে আরও লেখা হয়, এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীই তাঁর পূর্বসূরি সম্বন্ধে এই ধরনের আক্রমণ করেননি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লিখিত বিবৃতিটি ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা।
রাজীব গান্ধীর আমলে দেশজুড়ে যে টেলিকমিউনিকেশন বিপ্লব হয়েছিল, তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বিজয়ী সৈনিকরা পর্যন্ত বোফর্স কামানের প্রশংসা করে এক দশক আগে মৃত্যু হওয়া রাজীব গান্ধীর নামে জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন, বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রকাশ্য বিবৃতিতে। প্রতিবছর ভারতের আইটি কোম্পানিগুলি যে বিশাল অঙ্কের অর্থ রোজগার করছে তাতেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। রেল পরিষেবার আধুনিকীকরণ থেকে দেশের বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পতে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হাত, দাবি ওই বিবৃতিতে। অধ্যাপকদের কথায়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধী দেশের সেবা করতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছেন। গোটা দেশের মানুষ তা খুব ভাল করে জানেন। কিন্তু, তাঁর মতো মানুষের নামে অসত্য ও অপমানজনক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি এতটাই নিচে নেমেছেন যা আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী নামেননি।
এই বিবৃতিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি আদিত্য নারায়ণ মিশ্র, বর্তমান সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই এগজিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য-সহ মোট ২০৭ জনের সই রয়েছে।