এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশনস্থলে মুখ্যমন্ত্রী,ভোটের পর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: ২৮ দিনের মাথায় মেয়ো রোডে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।নির্বাচন মিটে যাওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি কমিটি গড়েছেন। মমতা সেই কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে আইন বদল করতেও তাঁর আপত্তি নেই।

এ দিন বিকেলে কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ ছিল। সেখান থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে যান মমতা। শিক্ষামন্ত্রীকে পাশে দাঁড় করিয়ে অনশনকারীদের বলেন, “যদি আপনারা বিশ্বাস করেন, আমি অনুরোধ করব একটু অপেক্ষা করতে। পার্থদা যে কমিটি করেছে, তারা জুনের মধ্যেই পদক্ষেপ করবে। দরকারে আইন পরিবর্তন করার কথা ভাবব। আমার দিক থেকে আপত্তি নেই। যতটা পারব সহানুভূতিশীল থাকব।”  টানা ২৮ দিন অনশন করার জন্য এসএসসি উত্তীর্ণদের অভিনন্দনও জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত এক দশক আগে এই ধর্মতলা চত্বরেই সিঙ্গুর ইস্যুতে টানা ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। অনশনকারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা রাস্তায় পড়ে আছেন, কষ্ট করছেন, আমায় বিশ্বাস করে অপেক্ষা করুন। অনশনে বসার আগে আমায় বললে আমি কিছু করতে পারতাম।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পর অনশন এক্ষুণি উঠছে কি না সে ব্যাপারে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি এসএসসি উত্তীর্ণরা। তাঁরা জানিয়েছেন রাতে কোর কমিটির বৈঠক করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। তবে অনশনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর আসাকে তাঁদের আন্দোলনের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন।

এর আগে ‌গত ২৩ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি জানিয়েছিলেন অনশনরত এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের দাবিদাওয়ার প্রতি সরকার মানবিক। তবে নিয়োগ হবে মেধাতালিকা, আইন মেনে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পরের বছর থেকে এসএসসি–র নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সরল করতে চায় রাজ্য। প্রতি বছর যাতে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদনও করেন পার্থবাবু। ৪০০ জন নিয়ে শুরু হয়েছিল অনশন। এর মধ্যেই প্রায় আড়াইশজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এক সন্তানসম্ভাবা তরুণীর গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটে যায় এখানে। শুরু থেকেই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ছিল বামেদের। গত কয়েকদিনে অনশনকারীদের পাশে কখনও দেখা গিয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। কখনও সেখানে পৌঁছেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতাদেরওআন্দোলনকারীদের সমর্থনে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একদিন প্রতীকী অনশনে বসেন কবি মন্দাক্রান্তা সেনও। এ সব নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান বার করতে বলা হয় ওই কমিটিকে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। তার পরই এ দিন অনশনস্থলে পৌঁছন মমতা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest