কনুই- হাঁটু খসখসে, কালচে ছাপ? জেনে নিন দাগ দূর করার সহজ উপায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: আপনি যতই হাতে ওয়াক্সিন করুন আর স্লিভলেস টপ পড়ুন, হাতের কনুই যদি কালো আর খসখসে থাকে তাহলে মোটেই তা সুন্দর লাগে না দেখতে| শুধু আপনার কেন, আমাদের বেশিরভাগ মহিলা বা মেয়েদের এই এক বিষম সমস্যা| সুন্দর হাত দু’ টিতে কলঙ্কের মত কনুইয়ের কালো দাগ কার ভালো লাগে বলুন তো? তাই ‘দাশবাস’ বলেছে আপনাদের একেবারেই চিন্তা না করতে | ঘরে বসেই যাতে আপনি কনুইয়ের কালো দাগকে চিরকালের মত টাটা বলতে পারেন সেরকম কয়েকটি দারুন টিপস নিয়ে আমরা হাজির|

(১) ভিটামিন-ই অয়েল: ৩-৪ টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল থেকে এর ভেতরের তেলটা বের করে নিন। এবার এটি আপনার কনুই এবং হাটুর চামড়ায় ব্যবহার করুন বা এটি চামড়ার উপর ঘষে ঘষে প্রয়োগ করুন। চাইলে এর সাথে চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ময়েশ্চারাইজিং এর কাজ করবে এবং এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া রিপেয়ার করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলো উন্নত করতে সাহায্য করে খুব দ্রুত।

(২) কোকোয়া বাটার: আপনার হাটু এবং কনুই এর ত্বকে বিশুদ্ধ কোকোয়া বাটার ব্যবহার করুন অথবা কোকোয়া বাটার সমৃদ্ধ  লোশন ইউজ করুন। এটা আপনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত স্কিনে দিনে অন্তত ৩ বার ব্যবহার করেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।

(৩) লেবুর রস: লেবুর রস হাটু ও কনুই এর কালো দাগ সাড়াতে খুবই কার্যকর একটি উপাদান। এটি একটি ন্যাচারাল ব্লিচিং উপাদান। এছাড়াও লেবুর রস ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া এক্সফ্লয়েট করে এবং চামড়া রিপেয়ার করতে সাহায্য করে । যাই হোক, আপনি ১ টে.চা. লেবুর রসের সাথে ১ টে.চা. মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন প্রতি সপ্তাহে ৩ বার। নিয়মিত ব্যবহার করলে দ্রুত রেজাল্ট পাবেন।

(৪) কফি পাউডার: কফি ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে অসাধারণ ক্ষমতা রাখে। আর তাই  কাঁচা দুধ অথবা পানির সাথে কফি পাউডার মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন আপনার কনুই বা হাটুতে ব্যবহার করুন। দ্রুত ফলাফল পেতে ২-৩ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করুন।

dark knees and elbows 1

আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে এমন দাগ কমাতে।
* টক দই ত্বককে কোমল করে, দাগও দূর করে। হালকা ধরনের টক দইয়ের সঙ্গে ভিনেগার বা লেবুর রস যোগ করে চক্রাকারে ত্বকে মালিশ করতে হবে ১৫-২০ মিনিট।
* ২ চা–চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ দুধের মিশ্রণ তৈরি করে মালিশ করতে পারেন। দুধের পরিবর্তে জলও দিতে পারেন। বেকিং সোডা ব্যবহার করুন খুবই সাবধানে। মালিশ করার সময় একটু গরম অনুভব হয়। ২-৩ মিনিট মালিশ করে দেখুন সঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে কি না। এরপর প্রয়োজনে ৫ মিনিট পর্যন্ত মালিশ করা যাবে, তবে এর বেশি নয়। কখনোই সরাসরি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। বেকিং সোডা ধুয়ে ফেলার পর অবশ্যই ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ফ্যাশন সচেতন নারীদের জন্য কনুই এবং হাটুর বিশ্রী দাগ খুবই চিন্তার ব্যাপার।  তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই প্যাকগুলো ব্যবহার করা শুরু করে দিন। রেগ্যুলার ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসতে বাধ্য হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest