ভোপাল: লোকসভা ভোটের মুখে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের একাধিক প্রাক্তন এবং বর্তমান সহযোগীর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি আয়কর দফতরের। কংগ্রেস নেতা কমল নাথের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রবীণ কক্করের ইনদওর ও ভোপালের বাড়িতে, প্রাক্তন উপদেষ্টা রাজেন্দ্র কুমার মিগলানির দিল্লির বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। দুই অভিযানে ন’কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেও আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কমল নাথের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীণ কুমারের ইনদওরের বাড়িতে রাত ৩টে নাগাদ তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি, দিল্লিতে হানা দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা রাজেন্দ্র কুমার মিগলানির বাড়িতে-ও। এ ছাড়া কমল নাথের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রাতুল পুরীর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রতীক যোশীর বাসভবনেও তল্লাশি হয়েছে। ভোপাল, ইনদওর, দিল্লি, গোয়া-সহ সারা দেশের মোট ৫০টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। অভিযানে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৩০০ কর্মী-অফিসারকে।সূত্রের খবর, নির্বাচনের সময় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে আয়কর দফতরকে কাজে লাগাচ্ছেন মোদী।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তল্লাশি চালানো হয়নি। এমনকি হানা দেওয়ার সময় কমিশনকে জানানো হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপির মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, আয়কর দফতরের এ ধরনের তল্লাশিকে রাজনৈতিক বলা চলে না। দল দেখে তল্লাশি চালানো হয় না। দয়া করে রাজনীতি করবেন না। তবে, ওটা কংগ্রেসের স্বভাব বলেও দাবি করেন শাহনওয়াজ।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন কক্কর এবং নিগলানি। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, তার পর থেকেই আতসকাচের নীচে ছিলেন এই দু’জন এবং মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ঘনিষ্ঠরা।গত সপ্তাহে কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) জোটের নেতাদের বাড়িতে হানা দেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে। স্বভাবতই বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের মুখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।কমল নাথ যদিও এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি ছিন্দওয়াড়া এবং হোসাঙ্গাবাদে লোকসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত।