বারাণসী: এই প্রথম ভারতে একটি সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে যেখানে হাওয়া বইছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে – এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদী। গতকাল বারাণসীতে রোড শো করার পর দলের কর্মী সভায় চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রচার কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি সম্পর্কে এই আশার বাণী শোনালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ”সব জায়গায় মানুষ বলছেন, আবারও…।”
যে মেজাজে গতকাল রোড শো শেষ করেছিলেন, আজ সেই মেজাজেই বারাণসীতে দিনটা শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। সাত সকালেই তিনি হাজির হয়ে যান আশি ঘাটে। সেখান থেকেই তিনি রওনা দেন কালভৈরব মন্দিরের দিকে। সেখানে একটি জনসভা করে আজ দুপুরেই বারাণসী কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর মনোনয়নকে তারকাখচিত করে তুলতে বারাণসী শহরে এখন ভিভিআইপিদের ভিড়। বিজেপির শীর্ষকর্তারা তো বটেই, সকালেই বারাণসীতে পৌঁছে যান এনডিএ শরিক দলগুলির শীর্ষনেতারাও। সকালেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাসওয়ান এবং শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে-সহ আরও অনেকে।
সাত দফা নির্বাচনের শেষ দফা অর্থাৎ ১৯ মে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। সারা দেশ জুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঘুরে বেড়ালেও নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে খুব বেশি সময় মোদী দিতে পারেননি। কিন্তু প্রচারের কাজে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে তিনি যে যথেষ্ট মনোযোগী ও সতর্ক সেটা তিনি দলীয় কর্মীদের সভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস কর্মীদের মধ্যে উগ্রতার জন্ম দিতে পারে সেই আশঙ্কায় তাঁর উপদেশ, কেউ যেন ভোটারদের সামনে ঔদ্ধত্য প্রকাশ না করে। অতীতের প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি কংগ্রেসের নাম না করে মোদী বলেন, ”ঔদ্ধত্য দেখাতে গিয়ে যারা ৪০০ আসন পেত তারা এখন ৪০টি আসন পায়।”