সোপিয়ান : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা।জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় শনিবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলেন এক মহিলা স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার। অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরাই এই কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোপিয়ান জেলার ভেহিল গ্রামে, দুপুর ২.৪০ মিনিট নাগাদ। রাজ্য পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে,আততায়ীদের গুলিতে খুন হয়েছেন জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ অফিসার খুশবু জান।বাড়ির সামনেই গুলি খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন খুশবু। সঙ্গেসঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ওঁর আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। আমরা এই সন্ত্রাসের নিন্দা করি। এই কঠিন সময়ে আমরা ওঁর পরিবারের পাশে আছি।’ এই জঙ্গি হামলার পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের যৌথবাহিনী। জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত চারদিনে এই নিয়ে পরপর তিন বার আঘাত হানল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের এক কর্মীর উপর গুলিচালায় জঙ্গিরা।তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। একই দিনে ত্রাল-এ এক সাধারণ মানুষকে খুন করে জঙ্গিরা। বুধবার পুলওয়ামার ডোগরিপোরা এলাকায় এক স্থানীয় বাসিন্দাকে বাড়িতে ঢুকে অপহরণ করে কাশ্মীরি জঙ্গিরা। পরে একটি স্থানীয় জঙ্গল থেকে মেলে তাঁর মৃতদেহ।
জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পেশাল পুলিস অফিসারদের নিয়োগ করে রাজ্য পুলিস। মাস মাইনে রাখা এইসব কর্মীদের নেই কোনও পুলিসের ট্রেনিং, নেই কোনও অস্ত্র। এরা রাজ্যে হোমগার্ডদের থেকেও নীচের স্তরের। এর আগে ত্রালেও এক এসপিও জঙ্গিদের হাতে খুন হন।এদিনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। হত্যাকাণ্ডের পরই টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার তীব্র নিন্দা করছি। একই সঙ্গে তাঁর পরিবার এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশে তাঁর সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’