#কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে কেন্দ্রের নীতি আয়োগের বৈঠকে না-যাওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই বৈঠকেই গরহাজির তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফ্টেন্যান্টরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ আগেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের অনুপস্থিতির কথা। মমতা দাবি করেন, ওই বৈঠক ‘ফলহীন’, কারণ রাজ্যকে সমর্থন জোগানোর মতো কোনো আর্থিক ক্ষমতা নেই নীতি আয়োগের। তাঁর অভিযোগ, ওই বৈঠকে কেন্দ্র যা আলোচনা করবে অথবা সিদ্ধান্ত নেবে, সে সব রাজ্যগুলিকে মেনে নিতে হবে, এটা হতে পারে না। তবে চন্দ্রশেখর রাও ঠিক কী কারণে এ দিনের বৈঠক এড়াচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর দল টিআরএস কোনো মন্তব্য করেনি।
পঞ্চম কাউন্সিল বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ দিন হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠক। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার ফিরে আসার পর এটাই প্রথম কোনো বৃহৎ সরকারি বৈঠক। এর আগে নবগঠিত কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের আহ্বানে দেশের জল সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জাতীয়স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই ছিলেন। তবে নীতি আয়োগের বৈঠকের আগেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে নিজের নিজের রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদার আবেদন জানিয়ে রেখেছেন।অন্ধ্র প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর রাজ্যের স্পেশ্যাল স্ট্যাটাসের দাবি জানান। পাশাপাশি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও স্পেশ্যাল স্ট্যাটাসের দাবি জানিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই এই তকম পেতে বিহার দাবি জানিয়ে আসছে বলে নীতীশের প্রশাসন জানায়। একই পথে হেঁটেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বিজেডি দলের সাংসদ পিনাকী মিশ্র বলেন, “সংসদে এ বিষয়ে সোচ্চার হবে আমাদের দলের সাংসদরা।”
উল্লেখ্য, প্রথম মোদী সরকার প্ল্যানিং কমিশন বদলে ‘নীতি আয়োগ’ নাম করে।