নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: ১৩ বছরে পা দিল টুইটার। ২০০৬ সালে ঠিক এই দিনে লঞ্চ করেছিল এই সকাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি।
আজকের দিনে টুইটারকে ব্যারোমিটার -এর সঙ্গে তুলনা করা হয়।ব্যারোমিটার দিয়ে যেমন বায়ুমণ্ডলের চাপ মাপা হয়, টুইটারও খানিকটা তেমন ভূমিকা পালন করে। টুইট দেখে বোঝা যায় দেশের হালচাল। রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে আম আদমি আজকাল সবাই নিজ নিজ অভিমত দিতে ব্যস্ত টুইটারে।১৩ বছরের এই কিশোর টুইটার আচরণ করে ঠিক মানুষের মতোই। সর্বদায় ছটফটে তারুণ্যে ভরপুর এই সোশ্যাল সাইট। কিশোরদের সমস্যা হল তারা বুঝতে পারে না ঠিক কী আচরণ করলে সকলে খুশি হবেন। কখনো তাদের আচরণ দেখে বড়রা বলেন ইঁচড়ে পাকা কখনো চিমটি কেটে বলে ছেলেমানুষি ছাড়ো যথেষ্ট বয়স হয়েছে। এই দুই চাপে পড়ে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগতে থাকে কিশোররা। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। কিশোর মানে একটা কল্পনাময় বিস্তৃত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনার উপরে ভর দিয়েই তৈরি হয় যৌবন যা মানব জীবনের অন্যতম সেরা সম্পদ। টুইটারে সমস্যা হলো সেও বুঝতে পারছে না তা ঠিক পরিচয় কেমন হওয়া উচিত। বিস্তৃত সম্ভাবনা বুকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে ১৩ বছরের এই টিনএজ সোশ্যাল সাইট।
জেনে নিন কয়েকটা ইনফো-
- জন্মলগ্নে থেকেই টুইটারে আছেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকেরবার্গ।
- বিশ্বে সবথেকে বেশি টুইটার ফলোয়ার রয়েছে মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির। এই মুহূর্তে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১০৭ মিলিয়ন।
- কম যান না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দেশের মধ্যে ফলোয়ার সংখ্যায় তিনি শীর্ষে। ভারতে তাঁকে ফলো করেন ৪৬.৫ মিলিয়ন মানুষ।
- ভারতীয়রা টুইটারে খুব একটা সাবলীল নন। মাত্র ৭.৬৫ মিলিয়ন ভারতীয় এই সোশ্যাল সাইটে এক্টিভ থাকেন। সেই তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭.০৫ মিলিয়ন মানুষ টুইটারে এক্টিভ আছেন।
- চীন টুইটার ব্যান করেছে আগেই। তারপরও সেখানে ৩.২ মিলিয়ন মানুষ অন্যভাবে এই সোশ্যাল সাইট টি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। (তথ্যসূত্র -দ্য প্রিন্ট)