Site icon The News Nest

ক্যান্সারের থাবা, মৃত্যু শয্যাতেও অমিলন সাহসিনী

eli

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক : জীবনটাকে আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মত হেসে-গেয়ে কাটাতে চেয়েছিলেন কানাডার জনপ্রিয় মডেল এলি মেডে।কিন্তু মাত্র ২৫ বছর বয়সে ক্যানসার ছোবল বসিয়েছিল তাঁর ওভারিতে। সাময়িক হতাশা গ্রাস করলেও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন এলি।চিকিৎসা শুরু করানোর সঙ্গে সঙ্গে এলি ক্যান্সার বিরোধী সচেতনতা ছড়ানোর জন্য শুরু করেন ইনস্টাগ্রাম প্রচার। সচেনতা ছাড়াতে অসুস্থ শরীরে ক্যাম্প করতেও শুরু করেন এলি। কিন্তু ৫ বছর পর থেমে গেল সেই অসম লড়াই।ব্যর্থ হল অপারেশন। মাত্র ৩০ বছর বয়েসে জীবনকে বিদায় জানালেন এলি।

এলি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তাঁর খুবই কোমরে ব্যথা হতো হঠাৎ করে। ডাক্তার দেখালেও, কিছুই ধরা পড়েনি। ডাক্তারেরাও তাতে খুব একটা পাত্তা দেননি। দিনের পর দিন পেন কিলার খেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিছু দিন পর থেকেই তাঁর দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে।পরে সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষায়, তাঁর স্টেজ থ্রি ক্য়ানসার ধরা পড়ে। কেমোথেরাপি ছাড়া অন্য উপায় ছিল না, জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। করাতে হয় হিস্টেরেক্টোমিও। ফলে তাঁর শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে।কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার পর সুন্দর তাহাকে যায়। একথা মন থেকে বিশ্বাস করতেন এলি।  নিজের প্রতিটি ছবিতে সেই বার্তাই দিতে শুরু করেন তিনি।

এলির মৃত্যুর পর তাঁর এক আত্মীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট লিখেছেন। জানিয়েছেন, সকলের মুখে হাসি ফোটাতে চাইতো ও। অসম এই লড়াইয়ে জয়ী হতে চাইত। সেই কারণে পেটের সেলাই দেখাতে দ্বিধা ছিল না ওঁর। চুলহীন অবস্থাতেও পোস্ট করেছে ছবি।

শেষ বার অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগের মুহূর্তে তিনি জানিয়েছিলেন, খুব ভয় করছে তাঁর। “হয়তো বেঁচে ফিরব না”–এই প্রথম শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। বেঁচে অবশ্য ফিরেছিলেন, সুস্থও ছিলেন অস্ত্রোপচারের পরে।

কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সংক্রমণ ছড়িয়ে গেল শরীরে। যদিও মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর দিয়েছেন যাবতীয় প্রশ্নের। মনের জোর জুগিয়েছেন নিজের কথা বলে।

 

Exit mobile version