#নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঠাসিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যের জেরে বেজায় চটেছেন সুষমা স্বরাজ। এর পরিণাম ভাল হবে না বলে কার্যত মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সাবধান করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য যখন দু’জনের সাক্ষাৎ হবে, তখন যেন লজ্জায় না পড়েন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ‘সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন’ বলেও মন্তব্য সুষমার। তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও সুষমার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তেজস্বী যাদব। রাজীব গান্ধী সম্পর্কে মোদীর করা ‘ভ্রষ্টাচারী’ মন্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আরজেডি নেতা লালুপুত্র।
বাংলায় লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে মোদী-মমতা শঠে শাঠ্যং চলছেই। বাংলায় ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, “মমতা জমানায় ট্রিপল টি ছাড়া বাংলায় পাতাও নড়তে পারছে না। ট্রিপল টি হল – তৃণমূল, তোলাবাজি আর ট্যাক্স। গুণ্ডারাজ কায়েম হয়েছে বাংলায়।” তার প্রতিক্রিয়াতেই মঙ্গলবার মমতা বলেন,“আমার দলকে মোদী তোলাবাজ বলেছেন। আমি ওঁকে গণতন্ত্রের থাপ্পড় মারতে চাই।” এর পরেই টুইট করেন বিদেশমন্ত্রী। সুষমা তাঁর টুইটারে বলেন, “মমতাজি, আজ আপনি সব সীমা লঙ্ঘন করে গেছেন ।আপনি আমাদের দেশের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মোদীজি প্রধানমন্ত্রী। তাই আমি উর্দু কবি বশির বদরের লেখা একটি কবিতার দুটি লাইন আপনাকে মনে করাচ্ছি” ওই উর্দু কবিতার অর্থ হল, চরম শত্রুতা করো কোনও ক্ষতি নেই, কিন্তু এটুকু মাথায় রেখো যে ভবিষ্যতে কোনও আবার বন্ধু হলে যেন লজ্জা পেতে না হয়।
টুইটের উত্তরে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তেজস্বী যাদব। সুষমাকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আশা করি আপনি মোদীর (রাজীব গান্ধী সম্পর্কে) বিলো দ্য বেল্ট (ভ্রষ্টাচারী) মন্তব্য শুনেছেন। আপনি ওঁর (মোদী) চেয়ে বড়, জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ। এই সত্যিটা জানা সত্ত্বেও আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন।’’ মোদী যখন রাজীব গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, তখন প্রায় সব বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বিজেপির কারও মুখেই সেই মন্তব্যের নিন্দা করা দূরে থাক বরং মৌন থেক সমর্থন করে গিয়েছেন। অমিত শাহ আবার পশ্চিমবঙ্গে এসে সরাসরি সমর্থন করেছেন মোদীর ওই মন্তব্য। এখানেই তেজস্বীর মতোই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, মোদীর মন্তব্য নিয়ে টুঁ শব্দ করলেন না সুষমা, এখন মমতার মন্তব্য নিয়ে কেন এই হুমকির সুর সুষমার গলায়।