#দেরাদুন: গরু একমাত্র প্রাণী যে প্রকৃতি থেকে অক্সিজেন নেওয়ার সাথে সাথে, প্রকৃতিতে অক্সিজেন ফিরিয়েও দেয়। আর গরুকে মালিশ করলে বা তার গায়ে হাত বোলালে আপনার হাঁপানি কমেও যায়। এই বক্তব্যের কোনও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা খোঁজার আগে জেনে নিন, কে বললেন এই বাক্যগুলো। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।
দেরাদুনের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত৷ সেখানেই এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘গরু যেমন অক্সিজেন গ্রহণ করে, তেমনই অক্সিজেন ছাড়েও৷ আমাদের বাঁচার রসদ দেয় বলেই তাকে মায়ের স্থান দেওয়া হয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, গোটা শরীরের জন্য গোবর ও গোমূত্র খুবই উপকারী। হার্ট-কিডনির রোগ নিরাময়ে তা সাহায্য করে৷ গরুর কাছাকাছি থাকলে টিবি রোগ সেরে যায়। দাবি করেন, বিজ্ঞানীরাও নাকি তাঁর এই মতবাদকে শংসাপত্রের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে৷
ক’দিন আগেই নৈনিতালের সাংসদ অজয় ভাটও বলেন গড়ুর-গঙ্গা নদীর জল পান করলে নাকি গর্ভবতী মায়েরা সিজারিয়ান ডেলিভারি এড়াতে পারেন এমনকী গর্ভাবস্থায় কোনও জটিলতা দেখা দিলে তাও নিরাময় করতে পারে গড়ুর-গঙ্গার জল। এটি উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার একটি নদী।
তবে এই প্রথম নয়, গরুকে নিয়ে মন্তব্য করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ প্রসঙ্গত, নির্বাচনের মরশুমে তিনি জানান, “আমি নিজে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলাম। আমি গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছি। এটা সত্যিই কার্যকরী এবং আমি নিজেই তাঁর উদাহরণ।” তিনি দাবি করেন, স্রেফ গোমাতার গায়ে হাত বুলিয়েই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি বলেন, “যদি আপনি গোমাতার পিছন থেকে গলার দিকে হাত বুলিয়ে দেন, তাহলে গোমাতা খুশি হন। আর এটা নিয়মিত করতে থাকলে আপনার ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।” মালেগাঁও বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্তের এই মন্তব্য নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিশানা করে নেটিজেনদের একাংশ৷ তবে তাঁর আসনে জয়লাভ হয়েছে সহজেই।
বিতর্কের মধ্যে পড়েমুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের প্রতিফলনই ঘটেছে ত্রিবেন্দ্র রাওয়াতের মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘এতদিন গরুর দুধের এবং মূত্রের ঔষধি গুণ সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল ছিলেন। পাহাড়ের মানুষরা এটাও বিশ্বাস করেন যে গরু তাদের অক্সিজেন দেয়।’