#জয়পুর: দু’ বছর আগে প্রাণ গিয়েছিল গোরক্ষকদের হাতে। তখন ছিল বিজেপি সরকার। আর কংগ্রেস সরকারের পুলিশ সেই নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল। তাঁর অপরাধ, তিনি গোরু পাচার করছিলেন।
ঘটনাটা ২০১৭-এর এপ্রিলের। ট্রাকে করে গোরু নিয়ে যাচ্ছিলেন পেহলু খান ও তাঁর দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফ। অলওয়ারের কাছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। চলে অবিরাম পিটুনি। প্রহারের চোটে প্রাণ হারান পেহলু খান। আহত হন তাঁর দুই ছেলে। সেই পেহলু ও তাঁর দুই ছেলে এবং ট্রাকমালিকের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগে ১৯৯৫ সালের রাজস্থান বোভাইন অ্যানিমল (প্রহিবিশন অফ স্লটার অ্যান্ড রেগুলেশন অফ টেম্পোরারি মাইগ্রেশন অর এক্সপোর্ট) আইনের ৫,৮ ও ৯ ধারা এবং ১৯৯৫-এর বিধি অনুসারে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার কয়েক দিন পর এই নতুন চার্জশিট তৈরি করা হয় এবং তা বেহরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তা পেশ করা হয়েছে।দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পেহলুর বড়ো ছেলে ইরশাদ বলেন, “গোরক্ষকদের আক্রমণে আমরা আমাদের বাবাকে হারালাম। এখন আমাদের গোরু পাচারকারী বলে অভিযুক্ত কোরা হয়েছে। আশা ছিল নতুন কংগ্রেস সরকার সব কিছু পুনর্বিবেচনা করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু আবার একটা চার্জশিট আমাদের বিরুদ্ধে পেশ করা হল। সরকার বদলের পর আমরা ন্যায়বিচার আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হল না।”
ঘটনাচক্রে, সে সময় এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল কংগ্রেস। সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অশোক গেহেলটও । তবে বসুন্ধরা রাজে সরকারকে সরিয়ে রাজস্থানে ক্ষমতা দখলের পর মুখ্যমন্ত্রী গেহেলটের র বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের অবস্থান বদল করেননি। এবং বিজেপি সরকারের আমলেই ঘটনার তদন্ত করা হয়েছিল, প্রয়োজনে পুনরায় যার তদন্ত করতেও রাজি তাঁর সরকার। গোটা বিষয়টির সমালোচনা করে এআইএমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দাবি, ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস আসলে বিজেপি-র হুবহু প্রতিরূপ মাত্র।